লঞ্চে নামাজের জামাতের জন্য আজান দিতে হবে কি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
লঞ্চে ভ্রমণের সময় জামাতে নামাজ আদায় করেন অনেকেই

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।

সফরে বের হলে, মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। মালেক ইবনে হুয়াইরিস (রা.) বলেন, দুজন ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে এলো যারা সফরে বের হওয়ার ইচ্ছা করেছে। তখন নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সফরে বের হওয়ার পর পথে নামাজের সময় হলে আজান ও ইকামত দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বয়োজ্যেষ্ঠ সে ইমামতি করবে। (সহিহ বুখারি)

সুতরাং সফর অবস্থায় লঞ্চে বা ট্রেনে আজান-ইকামতের সাথে জামাতে নামাজ পড়াই সুন্নত ও উত্তম পন্থা। তবে সফরে জামাতে নামাজের জন্য শুধু ইকামত দেওয়াও যথেষ্ট। প্রখ্যাত তাবেঈ ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, সফরে ইকামত দেয়াই যথেষ্ট। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক)

আজান দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। মুআজ্জিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। বিভিন্ন হাদিসে আজান দেওয়ার প্রভূত ফজিলত ও সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু তাকে সত্যায়ন করে। (মুসনাদে আহমদ)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সা’সাআহ (রহ.) বলেন, একদিন আবু সাইদ খুদরি (রা.) তাকে বললেন, তুমি তো ছাগল ও মরুভূমি ভালবাসো। তুমি যখন তোমার ছাগল চরানোর কাজে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাজের জন্য আজান দেবে, তখন উচ্চৈস্বরে আজান দিয়ো। কারণ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কেয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। আমি এটা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে শুনেছি। (সহিহ বুখারি)

ওএফএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।