তায়াম্মুমে আঙুল খেলাল করা কি জরুরি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামে তায়াম্মুম অজু বা গোসলের বিকল্প পবিত্রতা অর্জনের উপায়

ইসলামে তায়াম্মুম অজু বা গোসলের বিকল্প পবিত্রতা অর্জনের উপায়। যদি কেউ এমন কোথাও অবস্থান করে, যেখান থেকে এক মাইল বা এর বেশি দূরত্ব পর্যন্ত অজু-গোসলের জন্য পবিত্র পানি নেই অথবা অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করে, তাহলে অজু বা গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করতে পারে। আল্লাহ বলেন,

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡهِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا

আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আস কিংবা স্ত্রী সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি অম্বেষণ কর, তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ কর। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। (সুরা নিসা: ৪৩)

তায়াম্মুমের নিয়ম হলো, তায়াম্মুমের নিয়ত করে মাটি বা মাটিজাতীয় বস্তু যেমন বালু, পাথর, চুনা ও সুরমা ইত্যাদি কোনো কিছুতে দু’বার হাত লাগানো, একবার হাত দিয়ে মুখ মাসাহ করা, আরেকবার আঙুলের অগ্রভাগ থেকে কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত মাসাহ করা।

তায়াম্মুমে হাত মাসাহ করার সময় আঙুল খিলাল করা জরুরি। কারণ আঙুল খিলাল করা না হলে দুই আঙুলের ফাঁকে মাঝের অংশগুলো মাসেহ থেকে বাদ থেকে যায়। আর তায়াম্মুম শুদ্ধ হওয়ার জন্য আঙুলের অগ্রভাগ থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশ মাসেহ করা জরুরি। এর কোনো অংশ মাসাহ থেকে বাদ পড়লে তায়াম্মুম শুদ্ধ হয় না।

মাটির এক জায়গায় বারবার হাত লাগিয়ে তায়াম্মুম করা যায়। তায়াম্মুমের জন্য প্রত্যেকবার নতুন নতুন জায়গায় হাত লাগানো জরুরি নয়।

অনেকে তায়ম্মুমের সুবিধার জন্য এক টুকরো মাটি সাথে রাখে, যখন প্রয়োজন হয় ওই মাটিতে হাত লাগিয়ে তায়াম্মুম করে এতে কোনো অসুবিধা নেই। মাটির একটি টুকরো দিয়ে যতবার ইচ্ছা তায়াম্মুম করা যায়।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।