বিড়াল উঠলে কি জায়নামাজ অপবিত্র হয়ে যাবে?
অনেকেই বাড়িতে বিড়াল পোষে যেগুলো সাধারণত ঘরেই ঘোরাফেরা করে, ঘরের বাইরে যায় না। এ রকম পোষা বিড়াল মাঝেমধ্যে নামাজের সময় জায়নামাজে ওঠে যায়, পায়ে শরীর ঘষে। এতে কোনো সমস্যা নেই। পোষা বিড়াল জায়নামাজে ওঠে যাওয়ার কারণে জায়নামাজ অপবিত্র হবে না। শরীর বা কাপড়ে লাগলে শরীর বা কাপড়ও অপবিত্র হবে না, নামাজও নষ্ট হবে না যদি বিড়ালের গায়ে কোনো অপবিত্রতা লেগে না থাকে।
ইসলামি আইন বিশারদদের মতে যদি বিড়ালের শরীরে ভেজা অপবিত্র কিছু লেগে থাকে এবং এটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়, তাহলে বিড়াল শরীরে ঘেঁষে গেলে অথবা জায়নামাজে উঠলে শরীর ও জায়নামাজ অপবিত্র হবে, অন্যথায় অপবিত্র হবে না।
ইসলামে বিড়াল পোষা জায়েজ। অনেক সাহাবি বিড়াল পালতেন বলে বর্ণিত রয়েছে। শর্ত হলো বিড়ালের যথাযথ যত্ন নিতে হবে, খাবার দিতে হবে। অনাহারে রাখা যাবে না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ، فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ، لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ سَقَتْهَا، إِذْ حَبَسَتْهَا، وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ.
জনৈক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি যেন সে নিজে জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। (সহিহ বোখারি: ৩৪৮২)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পোষা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খাবার-পানি দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি: ৬/৪১২)
ওএফএফ/জিকেএস