কিস্তিতে বেশি দামে পণ্য বেচাকেনা কি জায়েজ?
বিভিন্ন কোম্পানি ইএমআই (EMI) বা কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করে। কিস্তিতে কিনলে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সুদের সাথে কিছুটা মিল থাকায় এ ধরনের বেচাকেনা জায়েজ কি না এ প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।
এ প্রশ্নের উত্তর হলো, কিস্তিতে পণ্য বেচাকেনা করা জায়েজ। নগদ মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য যা, কিস্তিতে বেচাকেনার ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য তার চেয়ে বেশি হলেও তা জায়েজ হবে। কিস্তি কমবেশি হওয়া বা কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা কমবেশি অনুযায়ী মূল্য কমবেশি করাও জায়েজ।
তবে শর্ত হলো, বেচাকেনার সময় মেয়াদ অনুযায়ী একটা মূল্য চূড়ান্ত করে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহক যদি পণ্যটি কিস্তিতে নেয় তবে তা কত মাসে পরিশোধ করবে এবং মোট কত টাকা পরিশোধ করবে তা চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে।
বেচাকেনা সম্পন্ন হওয়ার পর কোনো কিস্তি আদায়ে বিলম্ব হলেও মূল্য বাড়ানোর শর্ত থাকতে পারবে না। পূর্ব নির্ধারিত মূল্য অপরিবর্তিত থাকতে হবে। গ্রাহকের দায়িত্ব হবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কিস্তি আদায় করা। যেন বিলম্বের কারণে বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
কিস্তি যথাসময়ে আদায় না করলে যদি মূল্য বৃদ্ধির শর্ত থাকে, তাহলে তা সম্পূর্ণ সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত ও হারাম হবে। কোনো কোম্পানি না জেনে এ রকম বেশি মূল্য আদায় করে থাকলে তাদের দায়িত্ব ক্রেতাদের ওই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া। সেটা অসম্ভব হলে ওই টাকা তাদের পক্ষ থেকে গরিব-মিসকিনদের সদকা করে দিতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
ওএফএফ/এমএস