পুরুষের জন্য স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হওয়া কি নিষিদ্ধ?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
পুরুষের জন্য স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করা নাজায়েজ

ইসলামে পুরুষের জন্য স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কিন্তু পুরুষের জন্য কি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হওয়াও নিষিদ্ধ? কোনো পুরুষকে স্বর্ণালঙ্কার উপহার দেওয়া এবং তার জন্য ওই উপহার গ্রহণ করাও কি নিষিদ্ধ?

এসব প্রশ্নের উত্তর হলো, পুরুষের জন্য স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হলেও স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হওয়া পুরুষের জন্য জায়েজ। তাই পুরুষকে স্বর্ণালঙ্কার উপহার হিসেবে দেওয়া জায়েজ, তার জন্য তা গ্রহণ করাও জায়েজ। পুরুষ নিজের মালিকানায় থাকা স্বর্ণালঙ্কার কাউকে উপহার হিসেবে দিতে পারে বা বিক্রিও করতে পারে।

উল্লেখ্য, পুরুষদের জন্য যে কোনো পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করা অত্যন্ত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) এক সাহাবির হাতে স্বর্ণের আংটি দেখতে পেয়ে তা তার হাত থেকে খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন,

يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ

আপনাদের অনেকে জাহান্নামের জলন্ত অঙ্গার হাতে পরিধান করেন!

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার পর ওই সাহাবিকে বলা হলো, আংটিটি তুলে নিয়ে অন্য কাজে লাগান। সাহাবি বললেন, না, আল্লাহর কসম! যে বস্তু রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফেলে দিয়েছেন তা আমি কখনোই আর নেবো না। (সহিহ মুসলিম: ২০৯০)

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَلْبَسْ حَرِيرًا وَلَا ذَهَبًا

যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা এবং আখেরাতে ঈমান রাখে, সে যেন রেশমি কাপড় বা স্বর্ণ ব্যবহার না করে। (মুসনাদে আহমদ: ২২২৪৮)

তবে বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য দাঁত বা নাক সোনা দিয়ে বাধাই করা বা স্বর্ণের দাঁত বা নাক ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। বর্ণিত আছে, সাহাবি আরফাজার নাক কাটা গেলে নবিজি (সা.) তাঁকে সোনার নাক বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫২৭)

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।