ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম কী এবং কেন?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
বাগদাদে অবস্থিত আব্দুল কাদের জিলানির (রহ.) মাজার

আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার হিজরি ক্যালেন্ডারের চতুর্থ মাস রবিউস সানির ১১ তারিখ। হিজরি ৫৬১ সালের এ দিন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ও সাধক হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর দিনটিকেই ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে সরকারিভাবে এটি ঐচ্ছিক ছুটির দিন।

আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) হিজরি ৪৭০ সালের ১ রমজান বাগদাদ শহরের জিলান এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবু সালেহ মুসা, মায়ের নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তার বাবা ছিলেন নবিজির (সা.) নাতি হাসান ইবনে আলির বংশধর, মা ছিলেন নবিজির (সা.) আরেক নাতি হোসাইন ইবনে আলির বংশধর।

তিনি সুন্নি ও হাম্বলি মাজহাবের অনুসারী আলেম ছিলেন। এ ছাড়া আল্লাহর ওলি ও বুজুর্গ হিসেবে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত। হাদিস ও আরবি সাহিত্যে তার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল। কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও ভূগোল বিষয়েও তিনি পণ্ডিত ছিলেন। বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। ফাতহুল গাইব, গুনিয়াতুত তালেবিন, আলফাতহুর রাব্বানি ও কাসিদায়ে গাওসিয়া তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

হজরত আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) বড় আলেম ও বুজুর্গ হিসেবে দল মত নির্বিশেষে সব মুসলমানদের কাছেই শ্রদ্ধেয় ও অনুসরণীয়। তবে তার মৃত্যু উপলক্ষ্যে ঘটা করে দিনটি পালন করার ব্যাপারে ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। যেহেতু ইসলামে জন্মদিবস বা মৃত্যু দিবস ঘটা করে পালন করার নিয়ম নেই।

নবিজি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে কারো জন্ম বা মৃত্যু দিন আয়োজন করে পালন করার প্রচলন ছিল না। আবদুল কাদের জিলানিও (রা.) নিজের জীবদ্দশায় কখনও নিজের জন্মদিন বা অন্য কারো জন্ম/মৃত্যুদিন পালন করেছেন বা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ রকম কিছু পাওয়া যায় না।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।