ঘুসের অর্থ শূকরের মাংসের মতোই হারাম: মিজানুর রহমান আজহারী

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
মিজানুর রহমান আজহারী

আমাদের দেশে অনেকে খাওয়ার ক্ষেত্রে হালাল খোঁজেন, কিন্তু উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের খবর রাখেন না। শূকরের মাংস দিলে খান না, কিন্তু ঘুস ঠিকই খেয়ে যাচ্ছেন। অথচ শূকরের মাংস যেমন হারাম, ঘুসের অর্থও হারাম।

কথাগুলো সুপরিচিত আলেম ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর। গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে এ আলোচনার ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, এক ব্যক্তির ব্যাপারে জানি তিনি সরকারি চাকরি করেন, হালাল-হারাম বাছ-বিচার না করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন, কিন্তু এই ব্যক্তিই দেখলাম থাইল্যান্ডে গিয়ে হালাল খাবার খুঁজছেন। দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, এখানকার খাবারে পর্ক শূকরের মাংস/ চর্বি আছে কি না? অর্থাৎ হালাল খাবার খাওয়ার ব্যাপারে তিনি সচেতন, অথচ হারাম হওয়ার পরও ঘুস ঠিকই খাচ্ছেন।

তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের খাবার-পানীয় যেমন হালাল হতে হবে, আমাদের উপার্জনও হালাল হতে হবে। আমাদের পোশাক-আশাক ও বিনোদনও হালাল হতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ كُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا وَّ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ اِنَّهٗ لَكُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ

হে মানুষ, জমিনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু। (সুরা বাকারা: ১৬৮)

হালাল উপার্জন অল্প হলেও হালাল উপার্জনেই বরকত থাকে উল্লেখ করে আজহারী বলেন, শয়তান হারাম উপার্জনকে আমাদের সামনে চাকচিক্যময় করে তোলে। আমাদের বোঝাতে চায় হারামেই আরাম। শয়তানের ধোঁকায় পড়া যাবে না।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।