নফল আমলের জন্য পানি থাকা সত্ত্বেও তায়াম্মুম করা যাবে?
যে সব নফল আমলের জন্য অজু অপরিহার্য, সেসব নফল ইবাদতের জন্য পানি থাকা অবস্থায় অজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা যাবে না। যেমন নফল নামাজ, তাওয়াফ ও কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু করা জরুরি। পানি থাকা অবস্থায় শুধু তায়াম্মুম করে এ সব ইবাদত করা যাবে না।
যেসব আমলের জন্য অজু অপরিহার্য নয়, কিন্তু অজু অবস্থায় করা উত্তম, সেসব আমলের জন্য পানি থাকলেও ওযু না করে তায়াম্মুম করার সুযোগ রয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অজু না থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি তাকে সালাম দিলে তিনি তায়াম্মুম করে তার সালামের জবাব দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ৩৩৭)
সুতরাং পানি থাকা সত্ত্বেও দ্বীনি কোনো বিষয়ে আলোচনা করা, জিকির করা বা স্পর্শ না করে কোরআন পাঠ করার জন্য তায়াম্মুম করা যেতে পারে। সর্বদা পবিত্র অবস্থায় থাকা প্রশংসনীয় কাজ সেজন্যও অজু ভেঙে যাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ অজু না করতে পারলে তায়াম্মুম করা যেতে পারে। তবে এ সব ক্ষেত্রেও পবিত্রতার জন্য অজু করে নেওয়াই সর্বোত্তম পদ্ধতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইসলামে তায়াম্মুম অজু বা গোসলের বিকল্প পবিত্রতা অর্জনের উপায়। যদি কেউ এমন কোথাও অবস্থান করে, যেখান থেকে এক মাইল বা এর বেশি দূরত্ব পর্যন্ত অজু-গোসলের জন্য পবিত্র পানি নেই অথবা অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করে, তাহলে অজু বা গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করতে পারে। আল্লাহ বলেন,
وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡهِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا
আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আস কিংবা স্ত্রী সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি অম্বেষণ কর, তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ কর। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। (সুরা নিসা: ৪৩)
ওএফএফ/এএসএম