নদীয়ার ইসলাম বলতে আলাদা কিছু নেই: শায়েখ আহমাদুল্লাহ

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
শায়েখ আহমাদুল্লাহ

‘নদীয়ার ইসলাম’ বলতে মূলত নদীয়া জেলা (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ) থেকে উদ্ভূত একটি বিশেষ ইসলামি ধারাকে বোঝানো হয়ে থাকে যাকে ইসলামের এ দেশীয় বা আঞ্চলিক রূপ হিসেবে দেখতে চান কেউ কেউ। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচনা চলছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইসলামি আলোচক ও সামাজকর্মী আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, “পৃথিবীতে ইসলাম একটাই, অঞ্চল ভেদে ইসলামে কখনো পরিবর্তন হয় না। নদীয়ার ইসলাম বলতে আলাদা কোনো ইসলাম নেই। কোনটা ইসলাম আর কোনটা ইসলাম নয়, সেটা নির্ণয় করার নিক্তি কুরআন ও সুন্নাহ। এটা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত বিষয়।

ইসলামের বেলায় আজ যারা প্রকৃত ইসলামের কথা না বলে নদীয়ার ইসলামের কথা বলেন, সব ক্ষেত্রে কি তারা সেটা করেন? গণতন্ত্রের বেলায় তারা প্রকৃত গণতন্ত্র খোঁজেন, নাকি মামলা-হামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন ও রাতের ভোটের প্রচলিত দেশীয় গণতন্ত্রের কথা বলেন?

গণতন্ত্রের জন্ম আমেরিকায়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র আর আমেরিকার গণতন্ত্রের মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যারা ইসলামকে আঞ্চলিকতায় বিভাজিত করেন, তারা কি আমেরিকার প্রচলিত গণতন্ত্রের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রচলিত আঞ্চলিক গণতন্ত্রের কালচারকে ধারণ করার কথা বলেন?

তাছাড়া, এদেশে নদীয়ার তথাকথিত ইসলামকে ধারণ করা মানুষের সংখ্যা ১%-ও হবে না। এর বিপরীতে প্রায় ৯৯% মুসলমান আরবের ইসলাম তথা কুরআন-হাদিস বর্ণিত ইসলামে বিশ্বাস করেন।

এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর তারা কোন ইসলাম চাপিয়ে দিতে চান? কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নদীয়ার কথিত ও বিকৃত ইসলামকে ধারণ করেন, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু সেই ইসলামকে যদি সবার ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং সেটাকেই বাংলাদেশের ইসলাম বলা হয়, তবে তা বিনোদনের আইটেম হতে পারে, কিন্তু ইসলাম নয়।

অদ্ভুত এক দেশ আমাদের। এখানে যে কোনো বিষয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য সে বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়া লাগলেও ইসলামের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে পারেন যে কেউ।”

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।