গাভী বর্গা দেওয়ার প্রচলিত যে পদ্ধতি নাজায়েজ
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে গাভীর মালিক ও পালনকারীর মধ্যে দুধ ও বাছুরে শরিকানার শর্তে গাভী বর্গা দেওয়ার প্রচলন আছে। এ পদ্ধতিতে গাভীর মালিক পালনকারীকে এই শর্তে গাভী পালতে দেয় যে তারা উভয়ে সমানভাবে গাভীর দুধ ও বাছুরের অংশীদার থাকবে। কিন্তু গাভীর খাদ্য ও চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচ বহন করবে গাভী-পালনকারী।
এ পদ্ধতিতে গাভী বর্গা দেওয়া ইসলামি শরিয়তে নাজায়েজ। এভাবে গাভী বর্গা দেওয়া বা নেওয়া থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
গাভীর মালিক নিজে গাভী লালনপালন করতে না চাইলে পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাউকে গাভী লালন-পালনের দায়িত্ব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুক্তির সময় পালনকারীর জন্য মাসিক বা বাৎসরিক পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে আর লালন পালনের যাবতীয় খরচ মালিককেই দিতে হবে এবং দুধ ও বাছুরসহ সবই এককভাবে গাভীর মালিকের থাকবে। এতে লালন-পালনকারীর কোনো অংশ থাকবে না।
তবে উভয়ের সম্মতিতে পারিশ্রমিক হিসেবে নির্দিষ্ট মূল্যের বাছুর বা দুধ গাভীর মালিক গাভী লালন-পালনকারীকে দিতে পারবে।
আরেকটি পদ্ধতি এ রকম হতে পারে, যে গাভীটি মালিক বর্গা দিতে চাচ্ছে, তার অর্ধেক যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার কাছে বিক্রি করে দেবে। এরপর যে টাকা মূল্য হিসেবে মালিক পাবে, তা এক, দুই বা তিন বছরের লালন পালনের পারিশ্রমিক হিসেবে লালন-পালনকারীকে প্রদান করবে। এভাবে তারা উভয়ে ওই গাভীর মালিক হয়ে যাবে। গাভী পালনের খরচ উভয়ের বহন করতে হবে। গাভীর বাচ্চা ও দুধ ইত্যাদিও তারা সমান সমান ভোগ করতে পারবে।
ওএফএফ/এএসএম