বন্যার পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার একটি চিত্র

প্রাকৃতিক বন্যার পানির উৎস পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি। এই পানির বিধান নদীর পানির মতোই। নদীর পানিতে যেমন অজু-গোসল করা যায়, কাপড় পবিত্র করা যায়, বন্যার পানিও অজু-গোসলসহ পবিত্রতা অর্জনের সব কাজে ব্যবহার করা যাবে।

নদীর, বন্যা, বড় পুকুর ইত্যাদি প্রবাহিত ও বড় জলাশয়ের পানিতে নাপাকি পড়লেও ওই পানি নাপাক হয় না যদি নাপাকির রঙ, গন্ধ ও স্বাদের কোনো একটিও পানিতে প্রকাশ না পায়। তাই বন্যার পানি ঘোলাটে বা অস্বচ্ছ হলেও নাপাকির গন্ধ, রঙ বা স্বাদ প্রকাশ না পেলে ওই পানি দিয়ে ওজু-গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করতে কোনো অসুবিধা নেই।

তবে বন্যার পানি যদি নোংরা হয় এবং তা ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে, রোগ-বালাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ওই পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরিয়তে ইচ্ছকৃত নিজের ক্ষতি করা নাজায়েজ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিয়ো না। (সুরা বাকারা: ১৯৫)

বন্যার পানিতে নাপাকির গন্ধ, রঙ ব স্বাদ প্রকাশ পেলে তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। একইভাবে অতিরিক্ত মাটি-বালুর মিশ্রণের কারণে পানির স্বাভাবিক তরলতা ও প্রবহমানতা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পানি পাক থাকবে বটে, কিন্তু তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা জায়েজ হবে না।

বন্যার কারণে পবিত্র পানির সংকট দেখা দিলে অজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে। তায়াম্মুম করার মতো কিছু না পেলে অপবিত্র অবস্থায়ই নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তির সাদৃশ্য অবলম্বন করতে হবে বা নামাজ পড়তে হবে এবং পরবর্তীতে এ নামাজ কাজা করে নিতে হবে।

বন্যার পানিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ার কারণে নামাজ পড়ার কোনো পবিত্র জায়গা না পেলে অপবিত্র জায়গায়ই নামাজ পড়ে নেবে। পরবর্তীতে এ নামাজ আর কাজা করতে হবে না।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।