বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করা মসজিদে নববিতে ইতেকাফের চেয়ে উত্তম
মসজিদে এক বা একাধিক দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে সওয়াবের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। যে কোনো মসজিদে ইতিকাফ করাই ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। আর মসজিদে হারাম বা মসজিদে নববিতে ইতেকাফ করার ফজিলত নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি। কারণ ইসলামে এ মসজিদগুলোর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন, আমার এ মসজিদের নামাজ মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদের এক হাজার নামাজের চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। অন্যান্য মসজিদের নামাজের তুলনায় মাসজিদুল হারামের নামাজ এক লক্ষ গুণ বেশি ফজিলতপূর্ণ। (সুনানে ইবনে মাজা ১৪০৬, মুসনাদে আহমাদ: ১৪৬৯৪)
সুতরাং মসজিদে নববিতে ইতেকাফ ও ইবাদতের ফজিলত ও সওয়াব কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এর চেয়েও বেশি সওয়াব ও ফজিলতের আমল হলো মানুষকে সাহায্য করা। কোনো বিপদগ্রস্তের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া এবং তার প্রয়োজন পূরণ করা। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে মসজিদে নববিতে এক মাস ইতেকাফ করার চেয়ে কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করা বেশি উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ কাজ। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম আমল হলো, একজন মুসলমানের হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ করা অথবা তার কোনো কষ্ট দূর করে দেওয়া। তার পক্ষ থেকে তার ঋণ আদায় করে দেওয়া অথবা তার ক্ষুধা দূর করে দেওয়া। এই মসজিদে এক মাস ইতিকাফ করার চাইতে কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করা আমার কাছে বেশি পছন্দের। (তাবরানি)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ঈমানদারের দুনিয়া থেকে কোন বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ তা’আলা বিচার দিবসে তার কোনো বিপদ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন দুঃস্থ লোকের অভাব দূর করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে আল্লাহ তা’আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাই এর সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করতে থাকেন। (সহিহ মুসলিম)
ওএফএফ/জেআইএম