নবিজির (সা.) সাথে জান্নাতে থাকতে যে আমল করবেন

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৪

শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো নবিজির (সা.) সুন্নত বা আদর্শ। নবুয়তপ্রাপ্তির পর থেকে নবিজির (সা.) প্রতিটি কথা, কাজ ও সম্মতি আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। কোরআনে আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসলে নবিজির অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡكُمُ اللّٰهُ وَ یَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوۡبَكُمۡ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। (সুরা আলে ইমরান: ৩১)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَ مَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوۡلُ فَخُذُوۡهُ وَ مَا نَهٰىكُمۡ عَنۡهُ فَانۡتَهُوۡا

রাসুল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে তিনি তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত হও। (সুরা হাশর: ৭)

যারা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনুসরণ করবে, তাকে ভালোবাসবে, তার সুন্নত ভালোবাসবে, তারা তার সাথেই জান্নাতে স্থান পাবে। আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বলেছেন,

يَا بُنَيَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تصبح وتمسي لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لِأَحَدٍ فَافْعَلْ يَا بني وَذَلِكَ من سنتي وَمن أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجنَّة

তুমি যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার অন্তরে কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে কাটাতে পারো তাহলে তাই কর। এটা আমার সুন্নত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে জীবিত করে (অনুসরণ করে ও ভালোবাসে) সে আমাকে ভালোবাসে, আর যে আমাকে ভালোবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (সুনানে তিরমিজি)

সব বিদআতই ভ্রষ্টতা

ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) বলেন, একদিন ফজরের নামাজের পর রাসুল (সা.) আমাদেরকে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী নসীহত করলেন। সবার চোখ অশ্রুসিক্ত হলো, হৃদয় ভীত-শঙ্কিত হলো। এক লোক বলে উঠলো, এটি বিদায়ী নসীহতের মতো শোনাচ্ছে! তাই বলুন আপনি আমাদের থেকে কী অঙ্গীকার নেবেন? রাসুল (সা.) বললেন,

أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِي فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِينَ، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি অর্জনের ওসিয়ত করছি, নেতার কথা মান্য করা ও তার আনুগত্যের নির্দেশ দিচ্ছি, যদি সে হাবশি দাসও হয়। তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নত এবং খোলাফায়ে রাশিদিনের সুন্নত আকড়ে ধরো, মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্ত করে কামড়ে ধরো। আর সব নবঅবিস্কৃত বিষয় থেকে বেঁচে থাকো, সব নবআবিস্কৃতি বিষয়ই বিদআত আর সব বিদআতই ভ্রষ্টতা। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।