ইহরাম অবস্থায় পশু জবাই করার বিধান

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ১৩ মে ২০২৪

হজ-ওমরাহর আমলগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম আমল হলো ইহরাম। নামাজ যেমন তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে শুরু হয়, হজ-ওমরাহ শুরু হয় ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে। হজ ও ওমরারহ নিয়ত করে তালবিয়া পড়লে ইহরাম শুরু হয়ে যায়। ইহরাম অবস্থায় যেহেতু সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ তাই এর আগে সেলাইবিহীন সাদা কাপড় অর্থাৎ ইহরামের কাপড় পরে নেওয়া আবশ্যক। শুধু নিয়ত করলে বা শুধু তালবিয়া পড়লে ইহরাম শুরু হয় না। শুধু ইহরামের কাপড় পরিধান করলেও ইহরাম শুরু হয় না। বরং হজ-ওমরাহর নিয়ত করে তালবিয়া বা অন্য কোনো দোয়া, জিকির ইত্যাদি পড়লে ইহরাম শুরু হয়।

ইহরাম পরিধানের পর বৈধ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায়। এগুলোর একটি হলো গৃহপালিত নয় এমন স্থলের প্রাণী শিকার করা বা শিকারে সহযোগিতা করা, জবাই করা। কোরআনে ইহরাম অবস্থায় শিকার করতে নিষেধ করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡتُلُوا الصَّیۡدَ وَ اَنۡتُمۡ حُرُمٌ
হে মুমিনগণ, ইহরামে থাকা অবস্থায় তোমরা শিকারকে হত্যা করো না (সুরা মায়েদা: ৯৫)

তবে ইহরাম অবস্থায় গৃহপালিত পশু যেমন গরু, ছাগল, উট, গৃহপালিত হাস-মোরগ জবাই করা যাবে। গৃহপালিত পশু জবাই করলে কোনো রকম দম বা সদকা ওয়াজিব হবে না।

এ ছাড়া বিষাক্ত কীটপতঙ্গ যেমন মশা, মাছি, ভিমরুল, কষ্টদায়ক পিঁপড়া, কাক চিল, ইঁদুর, টিকটিকি, সাপ, বিচ্ছু, কাঁকড়া, হিংস্র কুকুর, বাঘ, চিতা, নেকড়ে ইত্যাদি ইহরাম অবস্থায় মারা যাবে। এগুলো মারলে কোনো দম বা সদকা ওয়াজিব হবে না।

এক নজরে ইহরামকারীর জন্য নিষিদ্ধ বা বর্জনীয় ৮টি কাজ

১. যৌনমিলন ও যৌনমিলন সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা।

২. পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কাপড় পরিধান করা, নারীরা সেলাইযুক্ত কাপড় পরতে পারবে।

৩. পুরুষদের মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা। নারীরা মাথা ঢাকতে পারেন তবে চেহারা অনাবৃত রাখতে হবে।

৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৫. শরীরের চুল বা পশম কাটা বা উপড়ানো।

৬. নখ কাটা

৭. কোনো স্থলজ পশু শিকার করা বা শিকারে সহযোগিতা করা, জবাই করা ইত্যাদি।

৮. কষ্টদায়ক নয় এমন পিঁপড়া, উকুন ইত্যাদি বধ করা।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।