না জেনে হালাল-হারাম সাব্যস্ত করা গর্হিত অপরাধ
আজ (২১ মার্চ) ১০ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১১তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের চতুর্দশতম পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে পূর্ণ সুরা হিজর ও সুরা নাহল।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে
১. না জেনে নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী কোনো কিছুকে হালাল বা হারাম বলা আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করার শামিল এবং এটা গর্হিত পাপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমাদের জিহ্বা দ্বারা বানানো মিথ্যার উপর নির্ভর করে বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম, আল্লাহর ওপর মিথ্যা রটানোর জন্য। নিশ্চয় যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটায়, তারা সফল হবে না। (সুরা নাহল: ১১৬)
২. ইসলামে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকর খাওয়া হারাম। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাইকৃত বা উৎসর্গিত পশুর মাংস খাওয়াও হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনি তো তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যে জন্তু জবাইয়ের সময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নাম নেয়া হয়েছে। তবে যে নিরুপায় হয়ে, ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন ব্যতীত (প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করবে) তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা নাহল: ১১৫)
৩. কোরআন পাঠ শুরু করার সময় অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চেয়ে ‘আউজু বিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির-রাজিম’ পড়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, যখন তুমি কোরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (সুরা নাহল: ৯৮)
৪. সুরা নাহলের ৯০ নং আয়াতে আল্লাহ ৩টি কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ৩টি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ১. ন্যায়বিচার করতে, ২. অন্যের প্রতি ইহসান বা সদাচরণ করতে, ৩. আত্মীয়দের দান করতে এবং নিষেধ করেছেন ১. অশ্লীল কাজ করতে, ২. মন্দ বা অপছন্দনীয় কাজ করতে, ৩. বিদ্রোহ বা সীমালঙ্ঘন করতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি আশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সুরা নাহল: ৯০)
৫. কোনো অঙ্গীকার করলে সেটা যথাযথভাবে পূরণ করা কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা শপথ দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ করনা; তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। (সুরা নাহল: ৯১)
ওএফএফ/জিকেএস