মৃত ব্যক্তির কাফনে কালেমায়ে শাহাদাত লিখে দেওয়ার বিধান
কাফনে কালিমায়ে শাহাদাত, কোনো আয়াত বা জিকির লেখা নাজায়েয। এটি ভুল প্রথা ও নতুন উদ্ভাবিত কাজ। এ রকম করলে মৃত ব্যক্তি কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করবে বা তার কবরের প্রশ্নোত্তর সহজ হবে এ রকম ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া লাশ গলে গেলে কাফনের জিকির ও কালিমা লেখা অংশ অপবিত্র হয়ে আল্লাহর নাম অসম্মানিত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
ইসলামের উৎস হলো কোরআন ও রাসুলের সুন্নত অর্থাৎ তার কথা, কাজ ও সমর্থন। কোরআন ও রাসুলের সুন্নত ছাড়া অন্য কোনো সূত্রে আমলের নতুন কোনো ধরন উদ্ভাবন করে তাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করলে তা হয় দীনের মধ্যে নতুন উদ্ভাবন বা বিদআত। রাসুল (সা.) তার উম্মতকে দীনের মধ্যে নতুন উদ্ভাবিত বিষয় বা বিদআত থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, সব নতুন উদ্ভাবিত বিষয় থেকে বেঁচে থাকো, সব নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত আর সব বিদআতই পথভ্রষ্টতা। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)
মৃত ব্যক্তির মুক্তির জন্য মৃত্যুর পর বেশি বেশি দোয়া করা উচিত, দান-সদকা, কোরআন তেলাওয়াত বা অন্যান্য আমল করে তার জন্য সওয়াব পাঠানো উচিত যেভাবে ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে।
ওএফএফ/জিকেএস