ওষুধের সাহায্যে স্তন্যদান করলে কি দুধের সম্পর্ক সাব্যস্ত হয়?
কোনো নারী যদি ইনজেকশন বা অন্য কোনো ওষুধের সাহায্যে স্তন্যদান করে অর্থাৎ ওষুধের সাহায্যে বুকে দুধ এনে কোনো শিশুকে খাওয়ার বয়সে খাওয়ায়, তাহলে সে ওই শিশুর দুধ-মা এবং শিশুটি তার মাহরাম সাব্যস্ত হবে। শিশুটি মেয়ে হলে স্ত্রীর দুধ-সন্তান হিসেবে তার স্বামীরও মাহরাম গণ্য হবে।
তবে উল্লিখিত ক্ষেত্রে যেহেতু দুধ আসে ওষুধের মাধ্যমে, দাম্পত্য সম্পর্কের মাধ্যমে নয়, তাই ওই নারীর স্বামী শিশুটির দুধ-বাবা হবে না। তাই স্বাভাবিক দুধ-সন্তান হলে তার অনেক আত্মীয় যেমন বাবা ও ভাইও মেয়েটির মাহরাম গণ্য হতো, এ রকম ক্ষেত্রে সেটি হবে না।
ইসলাম এতিম, অসহায় বা দরিদ্র শিশুদের সাহায্য করতে, তাদের দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করে। তবে ইসলামে কোনো শিশুকে পালিত হিসেবে গ্রহণ করার মাধ্যমে শিশুটি পালক বাবা-মায়ের প্রকৃত সন্তান হয় না, তাদের মাহরামও হয় না। শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ছেলে হলে পালক মা, মেয়ে হলে পালক বাবার সাথে তাকে পর্দা মেনে চলতে হয়। তবে কোনো শিশুকে যদি দু’বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই পালিত হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে স্তন্যদানের মাধ্যমে তাকে মাহরাম বানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
ওএফএফ/এএসএম