মৃত্যুর স্মরণ আখেরাতের প্রস্তুতিতে সহায়ক

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪

মৃত্যু স্মরণ করলে দুনিয়ার আকর্ষণ কমে যায়। আখেরাতের স্মরণ অন্তরে জাগরুক হয়। নেক আমলে আগ্রহ বাড়ে। তাই কোরআনে বারবার মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাদিসে মৃত্যুর কথা আলোচনা করতে, মৃত্যু স্মরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
أكثِرُوا ذكرَ هادِمِ اللذَّاتِ . يعني : الموتَ
তোমরা স্বাদ হরণকারী বিষয় অর্থাৎ মৃত্যুর আলোচনা বেশি বেশি কর। (সুনানে তিরমিজি: ২৩০৭)

আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবর জিয়ারত করতে নির্দেষ দিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, এটা দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করায়। অর্থাৎ মৃত্যুর কথা স্মরণ করার কারণে আখেরাতের স্মরণও অন্তরে জাগরুক হয়।

কবরস্থানে গিয়ে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ ও শরিয়ত-নিষিদ্ধ কাজকর্ম ঠেকাতে একবার রাসুল (সা.) কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন,

كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُزَهِّدُ فِي الدُّنْيَا وتذكر الْآخِرَة
আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কারণ কবর জিয়ারত দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১৫৭১)

রাসুল (সা.) মাঝে মাঝেই সাহাবিদের কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে যেতেন এবং বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করতেন, কবরবাসীদের জন্য দোয়া করতেন।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।