স্ত্রীর দুধমায়ের সাথে কি পর্দা করা জরুরি?
কোনো শিশু যদি স্তন্যপান করার বয়সে অর্থাৎ দুই বছরের আগে কোনো নারীর স্তন্যপান করে, তাহলে তার সাথে ওই নারীর দুধের সস্পর্ক স্থাপিত হয়। রক্তের সম্পর্কের কারণে যেমন পুরুষ-নারীর মাহরাম হয় অর্থাৎ বিয়ে হারাম ও দেখা দেওয়া জায়েজ হয়, দুধের সম্পর্কের কারণেও পুরুষ-নারীর মাহরাম হয়; বিয়ে হারাম ও দেখা দেওয়া জায়েজ হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন,
يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
রক্তসম্পর্কের কারণে যারা মাহরাম হয়, দুধের সম্পর্কের কারণেও তারা মাহরাম হয়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
কারা মাহরাম বা কাদেরকে বিয়ে করা হারাম, তার বর্ণনা এসেছে কোরআনের এ আয়াতে,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাদের, তোমাদের মেয়েদের, তোমাদের বোনদের, তোমাদের ফুফুদের, তোমাদের খালাদের, ভাতিজীদের, ভাগ্নীদের, তোমাদের সেসব মাদের যারা তোমাদেরকে দুধ পান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদের, তোমাদের শ্বাশুড়ীদের, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদের, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের ওপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদের এবং দুই বোনকে একত্র করা (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ২৩)
এ আয়াতে স্ত্রীর মায়েদের মাহরাম বলা হয়েছে। স্ত্রীর দুধ-মা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। কোনো মেয়ে যদি স্তন্যপান করার বয়সে কোনো নারীর স্তন্যপান করে, তাহলে ওই মেয়ের স্বামী তার মাহরাম গণ্য হবে। তার সাথে পর্দা করা জরুরি নয়।
ওএফএফ/এমএস