প্যান্ট টাখনুর নিচে থাকলে নামাজ শুদ্ধ হবে কি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
টাখনু ঢাকা রেখে নামাজ আদায়ের হুকুম

নামাজে ও নামাজের বাইরে যে কোনো সময়ই পুরুষদের জন্য প্যান্ট, পায়জামা, লুঙ্গি, জুব্বা বা পরিধেয় যে কোনো পোশাক টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা নাজায়েজ। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, টাখনুর নিচের যে অংশ ইজারে বা লুঙ্গিতে ঢেকে থাকবে, তা জাহান্নামে যাবে। (সহিহ বুখারি: ৫৭৮৭)

টাখনু ঢাকা রেখে নামাজ আদায়ের হুকুম

এ অবস্থায় নামাজ পড়া আরও বেশি নিন্দনীয় কাজ। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) একবার এক গ্রাম্য লোককে লুঙ্গি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি নামাজে লুঙ্গি এভাবে ঝুলিয়ে রাখে, সে আল্লাহর হালাল-হারামের কোনো তোয়াক্কা করল না। (আলমুজামুল কাবীর: ৯৩৬৮)

তবে কাজটি নাজায়েজ হলেও এ অবস্থায় নামাজ পড়লে নামাজ শুদ্ধ হবে। নামাজে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্যান্ট, পায়জামা বা অন্য কোনো পোশাক টাখনুর নিচে ঝুলে থাকলে নামাজ নষ্ট হবে না বা পুনরায় আদায় করতে হবে না।

আরও পড়ুন : 

টাখনু বা গোড়ালির নিচে কাপড় পরার শাস্তি: 

পৃথিবীতে যারা অহংকার প্রকাশের জন্য গোড়ালির নিচে কাপড় পরবেন, পরকালে তাদের সঙ্গে আল্লাহ শুধু কথা বলবেন না বা তাদের পবিত্র করবেন না, এমনটা নয়। বরং তাদের টাখনুর নিচের আবৃত অংশ জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকবে। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে,

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন—মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির (প্যান্ট/পাজামা) যে অংশ (পুরুষের পা) গোড়ালির নিচে থাকবে তা আগুনে জ্বলবে।’ (বুখারি)

হযরত মুহাম্মদ (সা.) টাখনুর নিচে কাপড় পরা ব্যক্তির ব্যাপারে আরও জানিয়েছেন, আল্লাহ তাআলা টাখনুর নিচে কাপড় পরা ব্যক্তির দিকে ফিরে তাকাবেন না। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে,

হযরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন—মহানবী (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ ৩ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না এবং তাদের দিকে ফিরেও তাকাবেন না। এমনকি তাদের গোনাহ থেকেও পবিত্র করবেন না। বরং কঠোর শাস্তি রয়েছে তাদের জন্য।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।