উপদেশ দেওয়ার আদব

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪

নবিজি (সা.) জনসমক্ষে ওয়াজ করার সময় কাউকে নির্দিষ্ট করে উপদেশ দিতেন না। বরং বিশেষ স্বভাব বা দোষের কথা উল্লেখ করে ওই স্বভাব বা কাজের নিন্দা বা সমালোচনা করতেন। তাতে এ রকম কাজ যারা করে সবাই সংশোধন হয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতো এবং কেউ লজ্জা পেতো না।

কারো ভালো চেয়ে নসিহত করতে চাইলে সেটা গোপনে করা উচিত। গোপনে নসিহত করলেই সেটা প্রকৃত কল্যাণকামিতা হয়। মানুষের সামনে নসিহত করলে সেটা হয় ভর্ৎসনা ও নিন্দা। ফুজাইল ইবনে আয়াজ (রহ.) বলেন, মুমিন দোষ গোপন করে ও নসিহত করে, পাপচারী দোষ প্রকাশ করে ও লজ্জা দেয়। (জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম)

মিসআর ইবনে কিদাব (রহ.) বলেন, আল্লাহ তার ওপর রহম করুন যে গোপনে আমার দোষত্রুটি আমাকে জানায়। জনসমক্ষে নসিহত করার মানে হলো নিন্দা বা ভর্ৎসনা করা ( বাহজাতুল মাজালিস)

আবু সুলাইমান আদ-দারানী বলেন, যে তার ভাইকে গোপনে উপদেশ দেয়, সে তার কল্যাণকামনা করে, আর যে মানুষের সামনে উপদেশ দেয়, সে তাকে লজ্জা দিতে চায়। (তারিখু মাদিনাতি দিমাশক)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, মুমিন মুমিনের জন্য আয়নার মতো। (সুনানে আবু দাউদ) এ হাদিসটি থেকে যে নসিহত করে ও যাকে নসিহত করা হয় উভয়ের আদব ও কর্তব্য বোঝা যায়। আয়না তার সামনের মানুষের দোষত্রুটি দেখিয়ে দেয় নীরবে, দোষত্রুটির জন্য তাকে লজ্জা দেয় না। আবার আয়নায় নিজের ত্রুটি দেখলে মানুষ সেটাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার চেষ্টা করে না বরং ত্রুটি সংশোধন করার চেষ্টা করে।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।