প্রতি রাতে যে সুরা তিলাওয়াত করতেন রাসুল (সা.)

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

সুরা সিজদা কোরআনের ৩২তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩০টি।

সুরা সিজদার প্রথমার্ধে ওহি, সৃষ্টিকর্তা, মানবজাতির সৃষ্টি, পুনরুত্থান এবং বিচারের দিন সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। দ্বিতীয়ার্ধে যারা আল্লাহর সামনে সেজদা করে এবং যারা আল্লাহর দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এ সুরা পড়লে একজন মুসলমানের অন্তরে আল্লাহ ও আখেরাতের স্মরণ জাগরুক হয়। সে নিজের গুনাহগুলোর পরিণতি সম্পর্কে সাবধান হয়। আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি সম্পর্কে সাবধান হয়। নিজেকে আল্লাহভীরু বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়।

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রতি রাতে সুরা সিজদা ও সুরা মুলক পাঠ করতেন। (সহিহুল জামি: ৪৮৭৩) আরও বর্ণিত রয়েছে নবিজি (সা.) প্রতি জুমার দিন ফজরের নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা সিজদা তিলাওয়াত করতেন।

সুরা সিজদার শেষে কাফের ও মুমিনদের পরকালীন পরিণতির বিবরণ এসেছে এভাবে, “আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন আজাব আস্বাদন করাব এবং তাদের কাজের নিকৃষ্টতম প্রতিদান দেব। এই আগুন, আল্লাহর দুশমনদের প্রতিদান। সেখানে থাকবে তাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তারা যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করত তারই প্রতিফলস্বরূপ। তখন কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদেরকে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ তারপর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে অবতীর্ণ হয়ে বলে, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল’।” (সুরা সাজদা: ২৭-৩০)

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।