স্ত্রীর সৎ-মা কি মাহরাম?
স্ত্রীর সৎ-মা বা সৎ-শাশুড়ি পুরুষের মাহরাম নয়। সৎ-শাশুড়ির সাথে দেখা দেওয়া বৈধ নয়।
মাহরাম শব্দটি আরবি হারাম শব্দ থেকে এসেছে। ইসলামি পরিভাষায় যাদের বিয়ে করা হারাম বা অবৈধ এবং দেখা করা বা দেখা দেওয়া জায়েজ বা বৈধ, তাদের মাহরাম বলা হয়। রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা, স্তন্যদানের সম্পর্ক এবং বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে নারী পুরুষ পরস্পরের মাহরাম হয়। পরস্পরের সাথে দেখা দেওয়া জায়েজ হয়।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, মুমিন নারীদের বলো, যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারও কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নুর: ৩০, ৩১)
এ আয়াত থেকে বোঝা যায় স্বামীর পিতৃপুরুষা অর্থাৎ স্বামীর বাবা, দাদা, পরদাদা স্ত্রীর জন্য মাহরাম। শাশুড়ির বাবা অর্থাৎ দাদা শ্বশুরও স্ত্রীর জন্য মাহরাম। একইভাবে স্ত্রীর মা, নানি, ও পরনানি স্বামীর জন্য মাহরাম। শশুরের মা, দাদিও তার জন্য মাহরাম। এটা আপন মা, নানি, দাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সৎ-মা, সৎ-নানি বা সৎ-দাদির ক্ষেত্রে নয়।
তবে ইসলামে আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন বৃদ্ধা নারীদের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান শিথিল হয়ে যায়। সৎ-শাশুড়ি যদি সেরকম বৃদ্ধা হন, তাদের ক্ষেত্রেও পর্দার বিধান কিছুটা শিথিল হয়ে যাবে।
ওএফএফ/এএসএম