নবিজির (সা.) খুতবা

ব্যাভিচার আল্লাহকে ক্রুদ্ধ করে

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৭:৪৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সময় একবার সূর্যগ্রহণ হলো। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোকদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন, দীর্ঘক্ষণ রুকু করলেন, দ্বিতীয় রাকাতেও তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন, তবে তা প্রথম রাকাতের চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। দ্বিতীয় রাকাতেও তিনি দীর্ঘ রুকু করেন। তবে তা প্রথম রাকাতের রুকুর চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। তারপর তিনি দীর্ঘ সিজদা করেন এবং প্রথম রাকাতে যা করেছিলেন দ্বিতীয় রাকাতেও তাই করলেন।

সূর্য গ্রহণমুক্ত হলে নবিজি (সা.) নামাজ শেষ করেন। তারপর খুতবা দিতে দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করে তিনি বলেন, সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহর কাছে দোআ করবে। তার মহত্ব ঘোষণা করবে, নামাজ আদায় করবে ও সদকা প্রদান করবে। তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদের উম্মত! আল্লাহর কসম, আল্লাহর কোন বান্দা ব্যাভিচার করলে অথবা কোন বান্দী ব্যাভিচার করলে, আল্লাহ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। হে মুহাম্মাদের উম্মত! আল্লাহর কসম, আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা অবশ্যই কম হাসতে, বেশি কাঁদতে।

সূত্র: সহিহ বুখারি

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।