নবিজির (সা.) খুতবা
যে ইমান জান্নাতে নিয়ে যাবে
রিফাআহ জুহানি (রা.) বলেন, আমরা রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সফরে বের হয়ে কাদিদে পৌঁছলাম। সেখানে অনেকে রাসুলের (সা.) কাছে অনুমতি নিতে লাগলেন পরিবারের কাছে যাওয়ার জন্য, তিনিও তাদের অনুমতি দিতে থাকলেন।
এক পর্যায়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) উঠে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করে তিনি বললেন, কী ব্যাপার! গাছের যে অংশ আল্লাহর রাসূলের কাছে তা গাছের অপর অংশের চেয়ে আপনাদের কাছে বেশি অপছন্দের!
এ কথা শুনে প্রায় সবাই কেঁদে ফেললেন। একজন বললেন, এরপর শুধু নির্বোধই আপনার কাছে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইবে।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, আমি আল্লাহর সামনে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অন্তর থেকে সততার সাথে সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল তারপর তার উপর অবিচল থাকবে, সে জান্নাতে যাবে।
আমার রব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আমার উম্মতের সত্তর হাজার মানুষকে বিনা হিসাব ও বিনা আজাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি আশাবাদী যে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করার আগেই আপনারা এবং আপনাদের সৎকর্মশীল বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানরা জান্নাতে প্রবেশ করে জান্নাতের আবাসে পৌঁছে যাবে।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেন, রাতের অর্ধাংশ বা তিনি বলেছিলেন দুই তৃতীয়াংশ যখন কেটে যায়, তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, আমার বান্দাদের আমি ছাড়া আর কেউ জিজ্ঞেস করবে না। কে আছে এমন যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দেবো, কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো, কে আছে যে আমার কাছে দোআ করবে, আমি তার দোআ কবুল করবো।… সুবহে সাদিক পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজিত থাকে।
সূত্র: মুসনাদে আহমদ
ওএফএফ/জেআইএম