রাতে যে সুরা পাঠে মিলবে আল্লাহর ক্ষমা
সুরা ইয়াসিন কোরআনের ৩৬ তম সুরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮৩ এর রুকুর সংখ্যা ৫। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরায় প্রধানত আল্লাহর একত্ববাদ, কাফেরদের শাস্তি, আখেরাতের জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এ সুরার ফজিলত সম্পর্কে অনেক দুর্বল ও বানানো হাদিস লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে। আমরা এখানে গ্রহণযোগ্য সূত্রে বর্ণিত দুটি হাদিস উল্লেখ করছি। জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন,
مَنْ قَرَأَ یٰسٓ فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ غُفِرَ لَهُ.
যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য রাতের বেলা সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান)
আরেকটি হাদিসে মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে বসে সুরা ইয়াসিন পড়তে বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন,
اقْرَءُوا يس عَلَى مَوْتَاكُمْ
তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের কাছে ’সুরা ইয়াসিন’ পাঠ করো। (সুনানে আবু দাউদ)
হাদিসটি দুর্বল। তবে সাহাবিদের মধ্যে এ রকম আমলের প্রচলন ছিলো বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সাফওয়ান থেকে বর্ণিত রয়েছে সাহাবি গুদাইফ ইবনে হারেস আস-সুমালীর (রা.) মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হলে তিনি বলেছিলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে পারো? তখন সালেহ ইবনে শুরাইহ সুরা ইয়াসিন পাঠ করা শুরু করেন। তিনি যখন চল্লিশ আয়াতে পৌঁছেন, তখন গুদাইফের (রা.) মৃত্যু হয়। (মুসনাদে আহমদ)
মুমুর্ষু ব্যক্তির পাশে বসে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘব হয় মর্মে সাহাবিদের বক্তব্য পাওয়া যায়।
ওএফএফ/জিকেএস