বিপদে ‘ইন্নালিল্লাহ’ পাঠের ফজিলত
যে কোনো বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর সহায্য প্রার্থনা মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহই মুমিনের চূড়ান্ত ভরসাস্থল। কুরআনে আল্লাহ তার সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে। আল্লাহ বলেন,
وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ وَ اِنَّهَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ
আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। (সুরা বাকারা: ৪৫)
নবিজির (সা.) অভ্যাস ছিল যে কোনো বিপদের সময় নামাজে দাঁড়ানো। তার সাহাবি হোজাইফা (রা.) বলেন, নবি (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (সুনান আবু দাউদ: ১৩১৯)
বিপদে পড়লে মুমিনের আরেকটি উত্তম বৈশিষ্ট্য ও কর্তব্য হলো ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়া। কোরআনে ও হাদিসে বিপদে পড়লে ‘ইন্নালিল্লাহ’ পড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এর বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ধৈর্যশীল মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,
وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ الَّذِيْنَ اِذَاۤ اَصَابَتْهُمْ مُّصِيْبَةٌ قَالُوْۤا اِنَّا لِلهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ.
ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও; যারা কোনো বিপদে পড়লে বলে ওঠে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাৎ আমরা সবাই আল্লাহরই এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
পরের আয়াতে আল্লাহ তাদের পুরস্কার ঘোষণা করে বলেছেন,
اُولٰٓىِٕكَ عَلَيْهِمْ صَلَوٰتٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رَحْمَةٌ وَ اُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْمُهْتَدُوْنَ.
তাদের জন্য তাদের রবের পক্ষ থেকে রয়েছে প্রশান্তি ও রহমত। আর তারাই তো হেদায়েতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা: ১৫৭)
উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিম যখন বিপদে পড়ে, সে যদি আল্লাহর নির্দেশা অনুযায়ী ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন’ বলে এবং এ দোয়া পাঠ করে,
اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا
হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দান কর এবং এর চেয়ে উত্তম বদলা দাও।
তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বদলা দিয়ে ধন্য করবেন। (সহিহ মুসলিম)
ওএফএফ/এএসএম