অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ইমামের পেছনে নামাজ হবে?
নামাজে কেরাত অর্থাৎ কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়া ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,
فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ
তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত তিলাওয়াত ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা মেলানো ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোনো রাকাতে কুরআন থেকে কিছুই না তিলাওয়াত করে, তাহলে ওই রাকাতটি পূর্ণ হবে না। ভুল করে সুরা ফাতেহা বা ফাতেহা-পরবর্তী কেরাত না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব হবে।
যে ব্যক্তি তিলাওয়াতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায় এমন গুরুতর ভুল করে, তার জন্য তিলাওয়াত শুদ্ধ করা ওয়াজিব। শিখতে অক্ষম হলে বা শেখার চেষ্টা করছে এমন হলে সর্বোচ্চ চেষ্টার পর যতটুকু শুদ্ধ তিলাওয়াত সে করতে পারে ওই তিলাওয়াতেই তার নিজের নামাজ হয়ে যাবে। যেহেতু শরিয়ত কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেয় না। কিন্তু এ রকম তিলাওয়াতকারীর ইমামতিতে তারাই নামাজ পড়তে পারবে, যাদের কেরাত তার মতো বা তার চেয়েও অশুদ্ধ। যাদের তিলাওয়াত তার চেয়ে শুদ্ধ, তাদের নামাজ তার পেছনে হবে না। ফকিহরা বলেছেন, অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর পেছনে শুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর নামাজ সহিহ হয় না। (ফতোয়ায়ে শামি: ২/৩২৪)
শুদ্ধ তিলাওয়াতকারী যদি কোনো নামাজের জামাতে অংশ নিয়ে দেখে ইমামের তিলাওয়াত গুরুতর অশুদ্ধ, তাহলে ওই জামাত ছেড়ে দেবে এবং অন্য কোনো জামাতে বা একা নামাজ আদায় করবে। যেসব নামাজে অনুচ্চ স্বরে কেরাত পড়া হয়, এমন নামাজও যদি গুরুতর অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর পেছনে কেউ আদায় করে ফেলে এবং পরে জানতে পারে তার তিলাওয়াত শুদ্ধ নয়, তাহলে ওই নামাজ আবার আদায় করে নিতে হবে।
ওএফএফ/জিকেএস