জানাজার নামাজ আংশিক না পেলে কী করবেন?
জানাজা একটি বিশেষ নামাজ, যা কোনো মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে তার জন্য দোয়া করা ও তাকে বিদায় জানানোর জন্য আদায় করা হয়। এক মুসলমানের ওপর আরেক মুসলমানের অন্যতম হক হলো সে তার জানাজার নামাজ আদায় করবে, তাকে সমাহিত করবে। রাসুল (সা.) বলেন,
حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ
এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)
মুসলমান মৃতের জন্য জানাজা পড়া ফরজে কেফায়া বা মুসলমান সমাজের আবশ্যকীয় কর্তব্য অর্থাৎ কয়েকজন জানাজা পড়লে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কেউ না পড়লে সবাই গুনাহগার হবে।
জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে নিয়ত করে চারটি তাকবির বলা ওয়াজিব বা আবশ্যক। তাকবির পরবর্তী সানা, দরুদ ও দোয়া পড়া সুন্নত। জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে প্রথম আল্লাহ আকবার বলে কান পর্যন্ত দুহাত উঠিয়ে অন্যান্য নামাজের মতো হাত বাঁধবেন। প্রথম তাকবিরের পর সানা পড়বেন। দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদে ইবরাহিম পড়বেন। তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন। চতুর্থ তাকবির দিয়ে যথাক্রমে ডানে ও বামে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে জানাজার নামাজ শেষ করবেন।
কখনও যদি ইমাম এক বা একাধিক তাকবির বলে ফেলার পর জানাজার নামাজে উপস্থিত হন, তাহলে ইমামের সাথে নামাজে শরিক হবেন। যদি আপনার জানা থাকে ইমাম কততম তাকবির বলেছেন তাহলে ইমামের তাকবির অনুযায়ী দরুদ বা দোয়া পড়বেন। যদি সেটা জানা না থাকে, তাহলে প্রথম থেকে ধারাবাহিকভাবে সানা, দরুদ, দোয়া পড়বেন। এরপর ইমাম সালাম ফেরানোর পর লাশের খাট উঠিয়ে নেওয়ার আগেই মাসবুক ব্যক্তির মতো ছুটে যাওয়া তাকবিরগুলো বলবেন। সময় থাকলে তাকবিরের পর তাকবির-পরবর্তী দোয়াও পড়বেন। যদি জানাজার জামাত দ্রুত ভেঙে যেতে থাকে এবং লাশের খাট উঠিয়ে নিচ্ছে এ রকম অবস্থা হয়, তাহলে শুধু তাকবিরগুলো বলে নামাজ শেষ করবেন।
ওএফএফ/এমএস