শিশুর আকিকার গোশত কারা খেতে পারবে?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

সন্তান আল্লাহ তাআলার বড় একটি নেয়ামত। আল্লাহ সন্তান দান করলে বাবা মায়ের কর্তব্য হলো এ নেয়ামতের জন্য আল্লাহর শোকর ও কৃতজ্ঞতা আদায় করা। আল্লাহর শোকর ও আনন্দ প্রকাশের অংশ হিসেবে আাকিকা করা সুন্নাত। রাসুল (সা.) একটি ছাগল জবাই করে তার নাতি হাসানের (রা.) আকিকা করেছিলেন। (সুনানে তিরমিজি: ১৬০২)

রাসুল (সা.) বলেছেন,
الْغُلاَمُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ يُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ

সব শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ অবস্থায় থাকে। জনুগ্রহণ করার সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে জবাই করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করে দিতে হবে। (সুনানে তিরমিজি: ১৫২২)

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ও কন্য সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে তিরমিজি) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইহুদিরা পুত্রসন্তানের আকিকা করত কিন্তু কন্যাসন্তানের আকিকা করত না। তোমরা পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যাসন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করো। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি: ১৯৭৬০)

শিশু জন্মগ্রহণ করার সপ্তম দিন আকিকা করা মুস্তাহাব, সপ্তম দিন না পারলে চৌদ্দতম দিন, সেই তারিখেও অক্ষম হলে একুশতম দিন বা পরবর্তী যে কোনো দিন আকিকা করা যায়। যে ধরনের পশু জবাই করে কুরবানি বৈধ সেই ধরনের পশু দিয়ে আকিকা করাও বৈধ।

আকিকা ও কোরবানির গোশতের হুকুম একই। কোরবানির গোশতের মতো আকিকার গোশতও শিশুর মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ ধনী-গরিব সবাই খেতে পারবে। কিছু গোশত নিজেরা খাওয়া, কিছু আত্মীয়দের খাওয়ানো এবং দরিদ্রদের কিছু দান করা উত্তম হলেও আবশ্যক নয়।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।