মুসাফির যেভাবে নামাজ আদায় করবেন
মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো অর্থাৎ জোহর, আসর ও ইশার ফরজ নামাজ কসর করা বা সংক্ষীপ্ত করে দুই রাকাত পড়া জরুরি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
فَرَضَ اللهُ الصَّلَاةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا، وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ.
আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবির জবানে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত নামাজ ফরজ করেছেন। (সহিহ মুসলিম: ৬৮৭)
সফর অবস্থায় মুসাফির যদি মসজিদে নামাজ পড়েন এবং সেখানে মসজিদের ইমাম নামাজ পড়ান যিনি মুসাফির নন, তাহলে মুসাফির ব্যক্তি তার সাথে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজগুলো চার রাকাতই আদায় করবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
إِذَا دَخَلَ الْمُسَافِرُ فِي صَلَاةِ الْمُقِيمِينَ صَلَّى بِصَلَاتِهِمْ.
মুসাফির যদি মুকিমদের সাথে নামাযে শরিক হয় তবে সে তাদের মত চার রাকাত নামাজ পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৮৪৯)
মাগরিব ও ফজরে কসর নেই। এ দুই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ যথাক্রমে তিন রাকাত ও দুই রাকাতই আদায় করতে হবে। ফরজ ছাড়া অন্য নামাজগুলো কসর হয় না। তাই সেগুলো আদায় করলে পরিপূর্ণভাবেই আদায় করতে হবে। বেতর তিন রাকাতই আদায় করতে হবে। তবে সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাজ অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজের সাথে প্রতিদিন যে বারো রাকাত সুন্নাত নামাজ আমরা আদায় করে থাকি, এগুলো সফর অবস্থায় আবশ্যক থাকে না। ক্লান্তি বা ব্যস্ততা থাকলে এই নামাজগুলো ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে সময় সুযোগ থাকলে পড়ে নেওয়াই উত্তম।
ওএফএফ/জেআইএম