সুরা ইখলাস: শিক্ষা ও নির্দেশনা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০১ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২তম সুরা, আয়াত সংখ্যা ৪টি, রুকু ১টি। সুরাটি মক্কায় নাকি মদিনায় অবতীর্ণ এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। মক্কার মুশরিক বা মদিনার ইহুদিরা নবিজিকে (সা.) প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহর বংশ-পরিচয় কী? তাদের প্রশ্নের জবাবে এ সুরা অবতীর্ণ হয়।

সুরা ইখলাস অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সুরা। হাদিসে সুরা ইখলাসকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে। বর্ণিত রয়েছে, একবার রাসুল (সা.) বললেন, তোমরা একত্র হও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুল (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (সহিহ মুসলিম)

সুরা ইখলাস
(১) বলো, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন, সবই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন (৪) তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. আল্লাহর নাম, গুণ ও পরিচয় বর্ণিত হয়েছে এই সুরায়। তিনিই আমাদের স্রষ্টা ও পালনকর্তা। স্রষ্টার পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রত্যেক ইমানদারের কর্তব্য।

২. আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তার সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সবাই তার মুখাপেক্ষী। তার সাথে কাউকে শরিক করা জুলুম ও গর্হিত পাপ।

৩. আল্লাহর কোনো সন্তান নেই, তিনিও কারো সন্তান নন। কাউকে তার সন্তান মনে করা বড় পাপ ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ সন্তান পিতার সমান ও সমকক্ষ হয়।

৪. যেহেতু আল্লাহ একক ইলাহ, স্রষ্টা ও রব, তাই একনিষ্ঠভাবে শুধু তার ইবাদত করা আমাদের কর্তব্য। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সত্ত্বার ইবাদত বৈধ নয়।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।