কোনো কিছু নিজের জন্য হারাম বললে কি কাফফারা দিতে হবে?
মাঝে মাঝে আমরা কোনো কিছু নিয়ে বা কারো ওপর রাগ করে কোনো বৈধ কাজ বা খাবারের ব্যাপারে বলি, ওই খাবারটি আমার জন্য হারাম, ওই কাজটি তরা আমার জন্য হারাম, ওই গাছের ফল আমার জন্য হারাম, অমুকের হাতের রান্না করা খাবার, অমুকের বাসার খাবার বা অমুকের কিনে আনা খাবার আমার জন্য হারাম ইত্যাদি। এ রকম বললে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী তা কসম অর্থাৎ আল্লাহর নামে শপথ গণ্য হয়।
এ রকম বলার পর হারামকৃত খাবারটি খেলে বা হারামকৃত কাজটি করলে শপথভঙ্গের কারণে কাফফারা দিতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত রয়েছে,
أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا
তিনি কোনো কিছু নিজের ওপর হারাম করে নেওয়াকে শপথ গণ্য করতেন যার কাফফারা দিতে হয়। (সহিহ মুসলিম: ১৪৭৩)
কসমের কাফফারা হলো দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা পেটপুরে খাবার খাওয়ানো অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া। এভাবে কাফফারা আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে লাগাতার তিন দিন রোজা রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন,
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰهُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ فَکَفَّارَتُهٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَهۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُهُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা নিজেদের পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান করা, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। যে সামর্থ্য রাখে না, তার জন্য তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদা: ৮৯)
ওএফএফ/এএসএম