সুরা কারিআহ: ৪টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা কারিআহ কোররআনের ১০১তম সূরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ১১টি ও রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরায় কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কেয়ামতকে বলা হয়েছে মহাবিপদ। শেষে বলা হয়েছে কেয়ামতের দিন যার নেক কাজ বেশি হবে, সে উত্তম জীবন লাভ করবে আর যার মন্দ কাজ বেশি হবে, তার স্থান হবে জাহান্নামে।
সুরা কারিআহ
(১) মহাবিপদ! (২) কী সেই মহাবিপদ? (৩) মহাবিপদ সম্পর্কে তুমি কী জান? (৪) যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত, (৫) আর পর্বতরাজি হবে ধূনিত রঙিন পশমের মত। (৬) তারপর যার (নেক কাজের) পাল্লা ভারি হবে,(৭) সে লাভ করবে সুখী জীবন। (৮) আর যার (নেক কাজের) পাল্লা হালকা হবে, (৯) তার আবাস হবে হাবিয়া। (১০) তুমি কি জান হাবিয়া কী? (১১) উত্তপ্ত আগুন।
৪টি শিক্ষা ও নির্দেশনা:
১. পরকাল, হিসাব ও প্রতিদানে বিশ্বাস মুসলমানদের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস, পরকালে অবিশ্বাসী হয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। পরকালের বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে অন্তরে ধারণ করা আমাদের কর্তব্য।
২. কেয়ামতের দিন ও আল্লাহর শাস্তির ভয়াবহতা অন্তরে জাগরূক রাখা উচিত। যেন মন্দ কাজ করতে গেলে আমরা ভয় পাই, আমাদের অন্তর কেঁপে ওঠে।
৩. কেয়ামতের দিন আমাদের ভালো ও মন্দ কাজ ওজন করা হবে এবং ভালো-মন্দ কাজের প্রাধান্য অনুযায়ী প্রতিদান দেওয়া হবে।
৪. কেয়ামতের দিন মানুষ দুই দলে ভাগ হয়ে যাবে। এক দল সুখী জীবন অর্থাৎ জান্নাত লাভ করবে, আরেক দল গিয়ে পড়বে জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনে।
ওএফএফ/এএসএম