কৃত্রিম নখ ও পাপড়ি ব্যবহার করা কি জায়েজ?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৩

প্রাকৃতিক নখ কোনো কারণে ভেঙে গেলে বা উঠে গেলে কৃত্রিম নখ প্রতিস্থাপন করা জায়েজ। চোখের পাপড়ি যদি কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে উঠে যায়, তাহলেও কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার করা জায়েজ। তবে কৃত্রিম নখ বা পাপড়ি যেন অজুর পানি চামড়া পর্যন্ত পৌঁছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক না হয় বা অজুর সময় যেন সেগুলো খুলে রেখে অজু করা যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

কিন্তু স্বাভাবিক সুন্দর নখ ও পাপড়ি আছে এমন কোনো নারী শুধু সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কৃত্রিম নখ ও পাপড়ি ব্যবহার করতে পারবে কি না এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কোনো কোনো আলেমের মতে কৃত্রিম নখ ও পাপড়ি ব্যবহার নারীদের অন্যান্য অলঙ্কার পরিধানের মতো এবং জায়েজ।

কিন্তু অনেক আলেম কৃত্রিম নখ ও পাপড়ি ব্যবহারকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার কারণে এবং ‘আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন’ গণ্য করে নাজায়েজ বলেছেন। তারা বলেন, কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার পরচুলা ব্যবহারের মতোই। আল্লাহর রাসুল (সা.) পরচুলা পরতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেন,

لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ، وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ
আল্লাহ তাআলা সে সব নারীদের লানত করেন যারা নিজেরা পরচুলা পরে বা পরায়, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি অঙ্কন করে বা করায়। (সহিহ বুখারি: ৫৯৩৩)

অন্য একটি হাদিসে রাসুল সা. ভ্রু উপড়ে ফেলা, দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা ইত্যাদি রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন। রাসুল সা. বলেন,

لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّ
আল্লাহ ওই সব নারীকে লানত করেছেন, যারা উল্কি অঙ্কন করে বা করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; এরা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটিয়েছে। (সহিহ বুখারি: ৪৮৮৬)

তাই কেউ কেউ জায়েজ বললেও মুসলিম পরহেজগার নারীদের উচিত আল্লাহর দেওয়া স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও সাধারণ রূপচর্চায় সন্তুষ্ট থাকা। এ সব ক্ষতিকর অতিরিক্ত রূপচর্চা থেকে দূরে থাকাই কল্যাণকর।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।