জুমার প্রথম খুতবা: অপচয় ও অপব্যয় রোধে ইসলামের ভূমিকা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৩

আজ শুক্রবার। নতুন হিজরি বছরের মহররম মাসের তৃতীয় জুমা আজ। ৪ আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি, ২০ শ্রাবণ ১৪৩০ বাংলা, ১৬ মহররম ১৪৪৫ হিজরি। আজকের জুমার আলোচ্য বিষয়- অপচয় ও অপব্যয় রোধে ইসলামের ভূমিকা।

প্রিয় মুসল্লিগণ!

দুনিয়ার প্রায় সব ধর্ম ও সভ্যতায় জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করা এবং সম্পদ ভোগ করার অনুমতি ও নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু কোনো ধর্ম বা সভ্যতাই সম্পদ উপার্জন ও ভোগ করায় ইসলামের মতো নিয়ম-নীতির ফ্রেমে আবদ্ধ হয়নি। ইসলাম যেমন হালালভাবে অর্থ উপার্জনের নির্দেশ দিয়েছে, অন্যদিকে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ বৈধ পথে ব্যয় করারও নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম মানুষের এসব সম্পদ অপচয় ও অপব্যয় করা থেকে বিরত থাকার কঠোর দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সম্পদের অপচয় ও অপব্যয় মানুষকে বৈশ্বিক অনেক সমস্যায় নিমজ্জিত করে। ইসলামি শরিয়তে এটিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অপচয় ও অপব্যয় কী?

অপচয় ও অপব্যয় বলতে আরবি ইসরাফ ও তাবজির দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আরবি ‘ইসরাফ’ (إسراف) শব্দের অর্থ হলো- অপচয়, অপব্যয়, অমিতব্যয়, বাড়াবাড়ি, মাত্রাতিরিক্ততা, অপরিমিতি। আর ‘তাবজির’ (التبذير) অর্থও অপচয়, অপব্যয়, বাজে খরচ, অমিতব্যয় ইত্যাদি বোঝানো হয়।

অর্থাৎ‘ইসরাফ’ হলো কোনো হীন উদ্দেশ্যে প্রচুর অর্থ-সম্পদ ব্যয় করা এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা। কেউ কেউ বলেন, কোনো ব্যক্তির অবৈধ বস্ত্ত ভক্ষণ করা অথবা তার জন্য যা কিছু হালাল তা অপরিমিত ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আহার করা।’ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-

كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ

‘তোমরা এগুলোর ফল খাও যখন তা ফলবন্ত হয় এবং এগুলোর হক আদায় কর ফসল কাটার দিন। আর তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।’ (সুরা আনআম: ১৪১)

হজরত ইবনু আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, من أنفق درهما في غير حقه فهو سرف ‘যে ব্যক্তি অনর্থক কাজে এক দিরহামও খরচ করল সেটাই অপচয়।’ (আল-জামি লি আহকামিল কোরআন ১৩তম খন্ড, পৃঃ ৭৩)

আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন,وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا، إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ

‘তুমি অপব্যয় করবে না, নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।’ (বনি ইসরাইল: আয়াত ২৬-২৭)

ফক্বীহগণ ‘তাবযীর’-কে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে যে,عدم إحسان التصرف في المال وصرفه فيما لا ينبغي، ‘সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার না করা এবং তা অনুচিত কাজে ব্যয় করা’।[6]

অপচয় ও অপব্যয়ের ক্ষতিকর দিক

অপচয় ও অপব্যয়ের অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে, যেগুলো ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। অযথা খরচ দুনিয়ার ব্যবস্থাপনাকে যেমন বিশৃঙ্খল করে, তেমনি ব্যক্তির আখেরাতকেও নষ্ট করে দেয়। তন্মধ্যে কয়েকটি মৌলিক দিক তুলে ধরা হলো-

১. হারাম উপার্জনে উদ্বুদ্ধ করে অপব্যয়

অপচয় ও অপব্যয় করলে বেশিরভাগ সময় মানুষ অর্থসংকটে পড়ে যায়। তখন সংসারের আবশ্যকীয় ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মানুষ হারাম উপার্জনের দিকে ধাবিত হয়। অথচ হা রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন-

كُلُّ جَسَدٍ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ النَّارُ أَوْلَى بِهِ

‘প্রত্যেক ঐ শরীর; যা হারাম দ্বারা গঠিত তার জন্য জাহান্নামই উপযুক্ত স্থান।’ (ছহিহুল জামে ৪৫১৯)

২. পাপের চর্চার মাধ্যম অপচয়

অপচয়ের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। সে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর অবাধ্যতায় ব্যবহার করে এবং তাঁর আনুগত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। ফলে সে হারাম পথে অর্থ ব্যয় করতে উদ্যত হয়। তাহলো- মদ, জুয়া, লটারী, ধূমপানসহ সব ধরনের নেশাকর দ্রব্য পান, যাত্রা, আনন্দমেলা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থের অপচয়ের সাথে সাথে পাপের চর্চা চালু হয়।

৩. অতিভোজনের চর্চা শুরু হয়

ইসলামের নির্দেশনার বাইরে অতি ভোজনের মাধ্যমে অপচয় ও অপব্যয়ের চর্চা শুরু হয়। এ কাজে সে নিজেই নিজের ক্ষতিই ডেকে আনে। অথচ ইসলাম অপচয় না করে পরিমিত খাদ্য গ্রহণের সুন্দর নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

مَا مَلأَ آدَمِىٌّ وِعَاءً شَرًّا مِنْ بَطْنٍ حَسْبُ الآدَمِىِّ لُقَيْمَاتٌ يُقِمْنَ صُلْبَهُ فَإِنْ غَلَبَتِ الآدَمِىَّ نَفْسُهُ فَثُلُثٌ لِلطَّعَامِ وَثُلُثٌ لِلشَّرَابِ وَثُلُثٌ لِلنَّفَسِ

‘আদম সন্তান তার পেটের তুলনায় অন্য কোনো খারাপ পাত্র ভর্তি করে না। মানুষের জন্য তো কয়েক লোকমা খাদ্যই যথেষ্ট, যা তার মেরুদন্ডকে সোজা করে রাখবে। আর যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয় আর এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য রাখবে।’ (তিরমিজি ২৩৮০, ইবনু মাজাহ ৩৩৪৯)

৪. সম্পদ বিনষ্টের কারণ অপচয় ও অপব্যয়

অপব্যয় ও অপচয়ের মাধ্যমে সম্পদ নষ্ট হয়। আল্লাহ তাআলা এটি পছন্দ করেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

إِنَّ اللهَ كَرِهَ لَكُمْ ثَلاَثًا قِيلَ وَقَالَ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ

‘আল্লাহ তোমাদের তিনটি কাজ পছন্দ করেন না। ১. অনর্থক কথাবার্তা বলা; ২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. অত্যধিক প্রশ্ন করা।’ (বুখারি ১৪৭৭, মুসলিম ৫৯৩)

৫. বরকত কমে যাওয়া ও দারিদ্রতার সম্মুখীন হওয়া

অপচয়-অপব্যয় করলে সম্পদে বরকত হয় না। ফলে সম্পদ এক সময় নিঃশেষ হয়ে যায়। আর ঐ ব্যক্তি তখন ঋণ করতে থাকে। অবশেষে সে অভাব-অনটনের মধ্যে পতিত হয়।

৬. সম্পদ ব্যবহারের জবাবদিহি করতে হবে

পরকালে মহান আল্লাহর সামনে প্রত্যেককে স্বীয় সম্পদের হিসাব দিতে হবে। এ সম্পদ সে কোথায় থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করছে এ হিসাবও দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

لاَ تَزُولُ قَدَمَا ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَا أَبْلاَهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ،

‘কেয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত না হওয়া পর্যন্ত তা দুই পা তার রবের কাছ থেকৈ এক কদমও নড়াতে পারবে না। তাহলো- তার জীবনকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, কীভাবে তা অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে? তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা থেকে তা উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে? আর সে যতটুকু জ্ঞানার্জন করেছিল সে অনুযায়ী আমল করেছে কি-না।’ (তিরমিজি ২৪১৬, মিশকাত ৫১৯৭)

ইসলামের সৌন্দর্যই হলো মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। ইসলাম যেভাবে অপচয়কে নিষেধ করেছে তেমনি কৃপণতাকেও নিষেধ করেছে। এজন্যই কোরআন হাদিসে মুসলমানদের পানাহার, পোষাক-পরিচ্ছদ, বাসস্থান, সৌন্দর্য, যোগাযোগের মাধ্যম, বিবাহ-শাদী সবকিছুতেই সীমারেখা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। তাই অপচয় ও অপব্যায়ের প্রতিকারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা জরুরি। তাহলো-

১. মধ্যপন্থা অবলম্বন করা

এটি হলো অপচয় ও কৃপণতার মাঝামাঝি অবস্থা। কিন্তু অধিকাংশ লোক এই নীতির প্রতিফলন ঘটায় না। অথচ ইসলাম মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে বলেন-

وَالَّذِينَ إِذَا أَنْفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَامًا

‘তারা যখন ব্যয় করে, তখন অপব্যয় করে না বা কৃপণতা করে না। বরং তারা এতদুভয়ের মধ্যবর্তী অবস্থায় থাকে।’ (সুরা ফোরকান: আয়াত ৬৭)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, كُلُوا وَاشْرَبُوا وَتَصَدَّقُوا وَالْبَسُوا غَيْرَ مَخِيلَةٍ وَلاَ سَرَفٍ

‘তোমরা খাও, পান করো, দান-সাদকা করো এবং পরিধান করো, তবে অহংকার ও অপচয় ছাড়া।’ (মুসনাদে আহমাদ ৬৬৯৫)

২. সৌন্দর্য অবলম্বন করা

সৌন্দর্য অবলম্বন করা অবশ্যই বৈধ। তবে এজন্য অপচয় করা বৈধ নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-

يَا بَنِي آدَمَ خُذُوْا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ

‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান করো। তোমরা খাও ও পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।’ (সুরা আরাফ: আয়াত ৩১)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- إِنَّ اللهَ يُحِبَّ أَنْ يُرَى أَثَرُ نِعْمَتِهِ عَلَى عَبْدِهِ  ‘আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে তাঁর দেওয়া নেয়ামতের প্রভাব দেখতে ভালবাসেন।’ (তিরমিজি ২৮১৯, মিশকাত ৪৩৫০)

তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষণীয় যে, তা যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। যেন অপচয়ের পর্যায়ে না পড়ে।

৩. অহংকার না করা

সম্পদ ব্যয় করে অহংকার প্রদর্শন ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى كَالَّذِي يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لَا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا كَسَبُوا وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ-

‘হে বিশ্বাসীগণ! খোটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানগুলোকে বিনষ্ট করো না। সেই ব্যক্তির মতো, যে তার ধন-সম্পদ ব্যয় করে লোক দেখানোর জন্য এবং সে আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে না। ঐ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ প্রস্তর খন্ডের মতো, যার উপরে কিছু মাটি জমে ছিল। এরপর সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হলো ও তাকে পরিষ্কার করে রেখে গেলো। এভাবে তারা যা কিছু উপার্জন করে, সেখান থেকে কোনই সুফল তারা পায় না। বস্ত্ততঃ আল্লাহ অবিশ্বাসী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২৬৪)

৪. ব্যয়বহুল জীবন যাপন না করা

দুনিয়ার চাকচিক্য ও বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে না দেওয়া। বিলাসিতাকে ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَإِذَا أَرَدْنَا أَنْ نُهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيْهَا فَفَسَقُوْا فِيْهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيْرًا

‘যখন আমরা কোনো জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন আমরা সেখানকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নির্দেশ দেই। তখন তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে। ফলে তার উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে যায়। এরপর আমরা ওটাকে বিধ্বস্ত করে দেই।’ (বনি ইসরাইল: আয়াত ১৬)

অপচয়ের বদঅভ্যাস আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। আমরা হরহামেশা এ জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হচ্ছি। অথচ ইসলাম অপচয় ও অপব্যয়কে স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অপচয় ও অপব্যয় থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।