বিশ্বসেরা হাফেজ গড়ার কারিগর কারি মাহমুদুল হাসান

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত কারি হাফেজ মাহমুদুল হাসান। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারে কোরআন তেলাওয়াত করেন। বিশ্বসেরা হাফেজ গড়ার কারিগরও তিনি। বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিত হন হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসান।

তাঁর তেলাওয়াতের ছোট ছোট অডিও-ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। কোরআনের তেলাওয়াত ও মেহনত দিয়ে তিনি পৃথিবীব্যাপী কোরআন প্রেমীদের প্রশংসার জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলার মর্যাদাপূর্ণ কিতাব কোরআনুল কারিম। এই গ্রন্থের ধারক-বাহকদেরও আল্লাহ মর্যাদা দিয়েছেন। পৃথিবীজুড়ে পবিত্র কোরআনের বাংলাদেশী হাফেজদের আলাদা সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকাকে এসব হাফেজ বিশ্ব দরবারে সমুন্নত ও সম্মানিত করছেন। এসব প্রশংসিত কারিদের মধ্যেও কারি মাহমুদুল হাসান অন্যতম।

তিনি ভালোমানের একজন হাফেজ ও কারি। আন্তর্জাতিকমানের অসংখ্য হাফেজ গড়ে তোলার এক অনন্য কারিগর তিনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ২০০৯ সালে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের জন্য তিনি স্বর্ণপদক পুরস্কার জেতেন।

হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসানের বাড়ি রাজশাহী শহরে। তার বাবা মোহাম্মদ শরিফও একজন প্রসিদ্ধ কারি। হাফেজ মাহমুদুল হাসান কোরআনের সবকের শুরু থেকে কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুরোটাই সম্পন্ন করেছেন বাবার কাছে। পরিবারে তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান সবার বড়।

কারি মাহমুদুল হাসান ২০১২ সালে রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সাহাবা মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। এরপর আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ গড়ার উদ্দেশে হাফেজ কারি নাজমুল হাসান ও হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসানসহ কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসা।

তিনি বাংলাদেশ হিফজ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে কাতার ও ওমানে, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ও ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত হন।

হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসান বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি পবিত্র কোরআনের খেদমত করে যেতে চাই। তিনি বলেন, শতাধিক দেশের মেধাবী হাফেজদের পরাজিত করে বাংলাদেশি হাফেজরা পুরস্কার জেতেন। এতে বাংলাদেশের সুনাম হয়। অন্য দেশের কাছে এ দেশের গুরুত্বও সম্মান বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে এ কাজ আরও বেগবান হতে পারে।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।