হজের ফরজ ও ওয়াজিব কাজ

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১৯ মে ২০২৩

সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মতো নিষ্পাপ করে দেওয়া ইবাদত হলো হজ। যার বিনিময় শুধুই জান্নাত। হজ মৌসুমে ৫ দিনে ৫ জায়গায় ১২টি কাজ সম্পন্ন করাই হজ। সেগুলো কী?

হজের ৫ দিন হলো-

জিলহজ মাসের ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ তারিখ।

হজের পাঁচ জায়গা হলো-

১. মিনা

২. আরাফা

৩. মুজদালিফা

৪. জামারাত ও

৫. বাইতুল্লাহ।

হজের ১২ কাজ

হজ ইসলামের পঞ্চম রোকন। শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। হজের রয়েছে ১২টি কাজ। যার ৩টি ফরজ এবং বাকিগুলো ওয়াজিব কাজ। তাহলো-

হজের ফরজ

হজ পালনে তিনটি কাজ করা ফরজ। যা না করলে হজ হবে না। যার কোনো কাফফারা নেই। হজের তিন ফরজের কোনোটি বাদ পড়লে পরবর্তী বছর আবার হজ করতে হবে। হজের ফরজগুলো হলো-

১. ইহরাম বাঁধা

ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজের নিয়তে মিকাত (নির্দিষ্ট স্থান) থেকে সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় পরা।

২. আরাফাতের  ময়দানে সমবেত হওয়া

হাদিসের পরিভাষায় ‘আলহাজ্জু আরাফাহ’ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। জিলহজের ৯ তারিখে সূর্যাস্তের আগের এক মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। সূর্যাস্তের পর আরাফার ময়দান ত্যাগ করা।

৩. তাওয়াফে জিয়ারাহ করা

১০ জিলহজ কোরবানি ও মাথা মুণ্ডনের পর থেকে ১২ই জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করাই হলো তাওয়াফে জিয়ারাহ। এটি ফরজ।

হজের ওয়াজিব

হজ পালনে অনেকগুলো কাজ করা ওয়াজিব। যার কোনোটি বাদ পড়লে দম বা কোরবানি দিতে হয়। হজের ওয়াজিবগুলো হলো-

১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা

হজের উদ্দেশ্যে মিকাত (ইহরামের নির্দিষ্ট স্থান) ত্যাগ করার আগেই ইহরাম বাঁধা।

২. আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান

সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতেরর ময়দানে অবস্থান (ওকুফ) করা।

৩. কোরবানি করা

ক্বিরান বা তামাত্তু হজ আদায়কারীর জন্য কোরবানি আদায় করা এবং তা কংকর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডন করার মর্ধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা।

৪. সাঈ করা

সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাঈ করা। সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করা।

৫. মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান (ওকুফ) করা।

৬. তাওয়াফে জিয়ারাত আইয়্যামে নহরের (দিনের বেলায়) মধ্যে সম্পাদন করা।

৭. জামরায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা।

৮. মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা। তবে মাথা মুণ্ডনের আগে কংকর নিক্ষেপ করা।

৯. মিকাতের বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা।

মূল কথা হলো

হজের মৌসুমে ৫ দিনে ৫ জায়গায় ১২টি কাজ করার মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখিত সিরিয়াল মতো কাজগুলো ঠিকঠাক থাকলে হজ সম্পূর্ণ হবে। ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা সব হাজিকে হজের নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত জায়গায় নির্ধারিত কাজগুলো আদায় করার মাধ্যমে হজ সম্পাদন কার তাওফিক দান করুন। সব হাজির হজ কবুল করুন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।