কতটুকু সম্পদের মালিক মানুষ?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৩

বিশাল অট্টালিকা কিংবা সম্পদের পাহাড় এসব কিছুই মানুষের নয়। মানুষের জন্য মহান আল্লাহ খুব অল্প সম্পদই বরাদ্দ করেছেন। হজরত উসমান ইবনু আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের জন্য এই কয়টি বস্তু ছাড়া আর কোনো অধিকার নেই। তার বসবাসের জন্য একটি ঘর ও লজ্জা নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় এবং এক টুকরা রুটি ও পানি। (তিরমিজি ২৩৪১)

হজরত মুতাররিফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন। তখন তিনি বলছিলেন, ‘সম্পদের প্রাচুর্যের মোহ তোমাদের (আল্লাহ তাআলা থেকে) উদাসীন করে ফেলেছে’ (সুরা তাকাসুর- ১)। তিনি আরো বললেন-

يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي وَهَلْ لَكَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ أَوْ أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ

‘মানুষ বলে, আমার মাল, আমার সম্পদ। কিন্তু তুমি দান-খাইরাত করে যা (আল্লাহ তাআলার খাতায়) জমা রেখেছ, খেয়ে যা শেষ করেছ এবং পরিধান করে যা পুরানো করেছ এগুলো ছাড়া তোমার সম্পদ বলতে আর কিছু নেই।’ (তিরমিজি ২৩৪২)

পরকালের সীমাহীন জীবনের কথা চিন্তা করে বিশাল অট্টালিকা বা সম্পদের পাহাড় জমা করতে নেই। দুনিয়ায় জমাকৃত সম্পদ মানুষের জন্য অকল্যাণকর। হাদিসের নির্দেশনায় তা এভাবে ওঠে এসেছে-

হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ যদি তুমি (সৎকাজে) খরচ করে ফেল তাহলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু তুমি যদি তা গচ্ছিত রাখ তাহলে তা তোমার জন্য অকল্যাণকর। তোমার প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ জমা রাখলে তাতে কোনো দোষারোপ করা হবে না। আর তোমার পোষ্যদের থেকেই (দান-খাইরাত) আরম্ভ কর। নিচের হাত থেকে উপরের হাত উত্তম।’ (তিরমিজি ২৩৪৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিনটি হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।