শীতকালে অজু ও নামাজের জন্য যে পুরস্কার

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩

প্রচণ্ড ঠান্ডায় অজু ও নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ সুসংবাদ ও পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। শীতের সময় প্রচণ্ড ঠান্ডায় যাতে কেউ অজু করতে অবহেলা না করে, তার জন্য অজু ও নামাজের প্রতি যত্নবান হতে বড় পুরস্কার ও ফজিলতের কথা ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি-
أَلَا أَدُلّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدّرَجَاتِ؟ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ…

অর্থ: আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না! যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তোমাদের গোনাহসমূহ মিটিয়ে দেবেন (তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন) আর (আল্লাহর কাছে) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করে দেবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তা হলো (শীত বা অন্য যে কোনো ঠান্ডা) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা। (মুসলিম)

এমনকি শীতকালে নামাজ পড়ার ব্যাপারেও রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ। হাদিসের বর্ণনায় তা এভাবে উঠে এসেছে-
হজরত আবু বকর ইবনু আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‏ مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
অর্থ: যে ব্যক্তি দুই শীতের (ফজর ও আসরের) নামাজ আদায় করবে; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারি)

মুমিনের কাছে কনকনে শীত ও ঠান্ডা আরেক ঈমানি জজবা বা উদ্দীপনার নাম। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী জান্নাত ও গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সুসংবাদ ও পুরস্কার লাভে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপক্ষো করে যথাসময়ে অজু ও নামাজ আদায়ে মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।