শরীরের হক আদায়ে যে নামাজ পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

অল্প নামাজের উপকার অনেক বেশি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামাজের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সময় অনেক নামাজ আদায়কে সুন্নত বলেছেন এবং তা আদায়ে তাগিদ দিয়েছেন। চাশতের নামাজ তার মধ্যে একটি। এ নামাজকে সালাতুজ জোহাও বলা হয়। নামাজটি মানুষের জন্য অনেক উপকারী।

মানুষের শরীরে ৪ হাজারের ওপরে জোড়া রয়েছে। প্রতিটি জোড়ার হক আদায় করা বা সাদকা আবশ্যক। আলাদা আলাদাভাবে এসব জোড়ার হক আদায় করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যেমন- প্রতিটি তাসবিহ-তাহলিল বা সৎকাজের আদেশ-নিষেধ বা পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো ইত্যাদি কাজে এক-একটি জোড়ার হক আদায় হয়।

এভাবে দিনব্যাপী ৪ হাজার ভালো কাজ করার মাধ্যমে শরীরের জোড়াগুলোর হক আদায় করতে হয়।যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তাই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের সহজ একটি ইবাদতের ঘোষণা দিয়েছেন যাতে পুরো ৪ হাজার জোড়ার হক আদায় হয়ে যায়। তাহলো- চাশতের নামাজ আদায় করা। যা আদায় করলে এ সব হক আদায় হয়ে যায়।

হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাশতের নামাজের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারের কথা এভাবে তুলে ধরেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘আমার আন্তরিক বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তিনটি অসিয়ত করেছেন।

১. প্রতি মাসে ৩দিন রোজা রাখা;

২. চাশতের ২ রাকাত নামাজ আদায় করা;

৩. ঘুমানোর আগে বিতর নামাজ আদায় করে নেয়া। (বুখারি ও মুসলিম)

চাশতের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণনায় অন্য হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সকালে তোমাদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাদকা করা আবশ্যক। প্রতিটি তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) সাদকা; প্রতি তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) সাদকা। প্রতিটি তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) সাদকা; প্রতিটি তাকবির (আল্লাহু আকবার) সাদকা। সৎ কাজের আদেশ দেয়া সাদকা। অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকা। আর এগুলোর পরিবর্তে যথেষ্ট হবে চাশতের ২ রাকাত নামাজ আদায় করা। (মুসলিম)

চাশতের নামাজের রাকাত ও পড়ার সময়

সূর্য একটি বল্লমের সমান তথা ১ মিটার পরিমাণ ওপরে উঠার পর এ নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ সুর্যোদয়ের পর ইশরাক নামাজ আদায়ের সময় থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়।

আরববাসীরা বলত, ‘চাশতের নামাজের সর্বোত্তম সময় হলো- সূর্যোদয়ের পর উটের বাচ্চা যখন গরম অনুভব করে; সে সময়টি হলো চাশতের নামাজের সময়।

চাশতের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাত পড়তে হয়। বেশির কোনো সীমা নেই। তবে কেউ কেউ ১২ রাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং প্রতিদিন সাধ্যমত ২, ৪ বা সময় সাপেক্ষে আরো বেশি পড়া যেতে পারে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর দেয়া সেরাদান শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাদকা আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।