মদিনায় নবিজির মসজিদ জেয়ারতের ফজিলত
মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ আবেগ ও ভালোবাসার স্থান মদিনার মসজিদে নববি। বছরজুড়ে সারাবিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহ নবিজির মসজিদ জেয়ারতে যান। সেখানে নামাজ পড়ে নিজেদের হৃদয় ও মনকে শান্ত করেন। নবিজির মসজিদ জেয়ারত করে সেখানে নামাজ ও ইবাদত করে অর্জন করেন গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। কী সেসব ফজিলত?
মদিনার নবিজির মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, মসজিদে হারাম (বাইতুল্লাহ) ছাড়া অন্য যে কোনো মসজিদে এক হাজার ওয়াক্ত নামাজের সমান সওয়াব রয়েছে। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত-
১. হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে অন্যান্য মসজিদ থেকে এক হাজার গুণ বেশি সওয়াব রয়েছে। তবে মাসজিদে হারাম (বাইতুল্লহ) ছাড়া।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মাঝখানে জান্নাতের একটি বাগান আছে। আর আমার মিম্বার আমার হাউজের উপর অবস্থিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার এ মসজিদে শুধুমাত্র কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা হবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। আর যে অন্য কোনো উদ্দেশে আসবে, তার অবস্থা হবে ওই ব্যক্তির মতো, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়। (ইবনে মাজাহ)
৪. হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করনে, ‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র কল্যাণ শেখা বা শেখানোর উদ্দেশে মসজিদে (নববিতে) আসবে, তার জন্য পূর্ণ এক হজের সওয়াব লেখা হবে।
নবিজির মসজিদের নামাজ ও ইবাদতের সওয়াব যেমন হাজার গুণ বেশি; তেমনি নবিজির মসজিদের জেয়ারতও মুমিন মুসলমানের মনে এনে দেয় প্রশান্তি। মদিনার নবিজির মসজিদ জেয়ারতে বেড়ে যায় মুমিনের ইবাদতের আগ্রহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র নগরী মদিনায় নবিজির মসজিদে নামাজ ও ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। নবিজির মসজিদ জেয়ারত করে হৃদয় ও মন জুড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস