জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ৩০ জুন ২০২২

২৯ জিলকদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে ০১ জুলাই শুক্রবার জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। তাই যারা কোরবানি করার সামর্থ্য রাখে কিংবা সামর্থ্য রাখে না; তাদের সবার জন্য জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ ২৯ জিলকদ সন্ধ্যার আগে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত বেশ কিছু কাজে রয়েছে বিধি-নিষেধ। যা পালনের সওয়াবও অনেক। কী সেসব কাজ?

জিলহজ মাস আসার সঙ্গে সঙ্গে যে বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি এবং সাওয়াবের কাজ তা তুলে ধরা হলো-

১. মাথার চুল কাটা কিংবা মাথা ন্যাড়া করা।

২. হাত ও পায়ের নখ কাটা।

৩. মোচ ছেঁটে ছোট করা।

৪. শরীরের অযাচিত পশম কাটা কিংবা পশম বিলুপ্তকারী ওষুধ ব্যবহার করা।

যদি কেউ কোরবানির আগে এ কাজগুলো করে অর্থাৎ চুল, চামড়া বা নখ কাটে তার জন্য কোনো জরিমানা নেই। তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাই যে ব্যক্তি কোরবানি করবে সে ব্যক্তি জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন চুল, চামড়া বা নখ কাটা থেকে বিরত থাকবে। তবে অনেকে এ কাজগুলোকে হারাম বলেছেন।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন উল্লেখিত কাজগুলো থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জিলহজ-এর ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার নিয়ত করে; তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোনো অংশ না কাটে।’ (মুসলিম)

হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জিলকদ মাসের শেষ দিকে জিলহজ মাস আসার আগে উল্লেখিত কাজগুলো সেরে ফেলা উচিত। যাতে জিলহজ মাসের শুরু থেকে কোরবানির দিন পর্যন্ত এ কাজগুলো করা না লাগে। সে আলোকে আজ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে এ কাজগুলো করা যাবে না।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, যারা কোরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের চুল, নখ বা অযাচিত পশম থেকে নিজেদেরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জিলহজ মাস আসার আগেই পরিচ্ছন্ন করে নেয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে হাদিসের ওপর আমল করতে উল্লেখিত বিধি-নিষেধগেুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।