কাবা শরিফ তাওয়াফে যে কাজগুলো সুন্নাত

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৩ জুন ২০২২

কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ফরজ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরিফ তাওয়াফে যে কাজগুলো সম্পাদন করেছেন সেভাবে তাওয়াফ করা সুন্নাত। হজের এ ফরজ কাজটি সম্পাদনের সুন্নাতগুলো কী?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের অনুসরণ করলো সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে। আবার অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ত্যাগ করলো সে আমার দলভূক্ত নয়।’

মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সুন্নাত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করা ঈমানের একান্ত দাবি। যদিও হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ফরজ। ফরজ তাওয়াফ ছাড়াও রয়েছে মান্নতের তাওয়াফসহ নফল তাওয়াফ। সব তাওয়াফেই এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো পালন করা সুন্নাত। তাহলো-
১. তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা সম্ভব না হলে ইশারা করা।
২. হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
৩. তাওয়াফ শুরু করার আগে হাজরে আসওয়াদ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিনো।
৪. তাওয়াফ শুরু আগে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।
৫. তাওয়াফে (পুরুষদের) ইজতিবা করা অর্থাৎ ইহরামের চাদর ডান বগলের নিচে দিয়ে (বাহাদুরি সুলভ) এনে বাম কাঁধে জড়ানো।
৬. তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে (পুরুষদের) রমল করা অর্থাৎ বীর দর্পে শরীর দুলিয়ে দ্রুততার সঙ্গে তাওয়াফ করা।
৭. পরের ৪ চক্কর ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
৮. সাত চক্করে বিরতি না দিয়ে তাওয়াফ সম্পন্ন করা।
৯. শরীরের পরিধেয় কাপড় নাজাসাতে হাকিকি (অপত্রিতা) থেকে পবিত্র হওয়া।
১০. তাওয়াফের পর সায়ী করার আগে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বা ইসতিলাম (স্পর্শ) করা। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করা।

উল্লেখ্য, হজ ও ওমরা পালনে নারীদের জন্য তাওয়াফের সময় কোনো ইজতিবা ও রমল নেই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর হজ ও ওমরা পালনকারীদের পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।