বন্ধুত্ব স্থাপনে কোরআনের দিকনির্দেশনা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। কোনো ঈমানদারের জন্য এটা সমীচীন নয় যে, কোরআনের দিকনির্দেশনার বাইরে গিয়ে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে। অন্তরঙ্গ বন্ধু স্থাপনে কোরআনের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। কারণ দ্বীনি বিষয়সহ দায়িত্বশীল যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্তরঙ্গ বন্ধুর পরমার্শ খুবই জরুরি। কোরআনের নির্দেশ ও ইঙ্গিত এমনই। মহান আল্লাহ এ সম্পর্কে কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি এভাবে সুস্পষ্ট করেছেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا بِطَانَۃً مِّنۡ دُوۡنِکُمۡ لَا یَاۡلُوۡنَکُمۡ خَبَالًا ؕ وَدُّوۡا مَا عَنِتُّمۡ ۚ قَدۡ بَدَتِ الۡبَغۡضَآءُ مِنۡ اَفۡوَاهِهِمۡ ۚ وَ مَا تُخۡفِیۡ صُدُوۡرُهُمۡ اَکۡبَرُ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَکُمُ الۡاٰیٰتِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ

‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের (মুমিন/মুসলমান) ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। (পক্ষান্তরে ইসলাম বিদ্বেষীরা) তারা তোমাদের অনিষ্ট করতে ক্রটি করবে না; তারা যা তোমাদেরকে বিপন্ন করে তা-ই তারা কামনা করে। তাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাদের হৃদয় যা গোপন রাখে তা আরো গুরুতর। তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করেছি, যদি তোমরা অনুধাবন কর।‘(সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১১৮)

 هٰۤاَنۡتُمۡ اُولَآءِ تُحِبُّوۡنَهُمۡ وَ لَا یُحِبُّوۡنَکُمۡ وَ تُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡکِتٰبِ کُلِّهٖ ۚ وَ اِذَا لَقُوۡکُمۡ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚ٭ۖ وَ اِذَا خَلَوۡا عَضُّوۡا عَلَیۡکُمُ الۡاَنَامِلَ مِنَ الۡغَیۡظِ ؕ قُلۡ مُوۡتُوۡا بِغَیۡظِکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ

‘ভেবে দেখ! তোমরা (বন্ধু ভেবে) তাদের ভালবাস কিন্তু তারা তোমাদের ভালবাসে না। আর তোমরা সব (আসমানি) কিতাবে বিশ্বাস কর, (কিন্তু তারা তোমাদের কিতাবে বিশ্বাস করে না) এবং যখন তারা তোমাদের সাক্ষাতে আসে, তখন তারা বলে, ‘আমরা বিশ্বাস করি।’ কিন্তু যখন তারা একা হয়, তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে তারা নিজেদের আঙ্গুল দাঁতে কাটে। বল, আক্রোশেই মর তোমরা। নিশ্চয়ই অন্তরে যা রয়েছে, আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১১৯)

 اِنۡ تَمۡسَسۡکُمۡ حَسَنَۃٌ تَسُؤۡهُمۡ ۫ وَ اِنۡ تُصِبۡکُمۡ سَیِّئَۃٌ یَّفۡرَحُوۡا بِهَا ؕ وَ اِنۡ تَصۡبِرُوۡا وَ تَتَّقُوۡا لَا یَضُرُّکُمۡ کَیۡدُهُمۡ شَیۡـًٔا ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ مُحِیۡطٌ

‘তোমাদের মঙ্গল হলে তা তাদের কষ্ট দেয় আর তোমাদের অমঙ্গল হলে তারা তাতে আনন্দিত হয়। তোমরা যদি ধৈর্যশীল হও এবং মুত্তাকি হও তবে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১২০)

আয়াতের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের (লোক) ছাড়া (অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্য থেকে) কাউকে (বন্ধুসুলভ আচরণে) অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। (কেননা) তারা তোমাদের সঙ্গে অঘটন ঘটাতে কোনো ত্রুটি করবে না। তারা (মনে প্রাণেও) তোমাদের (দুনিয়া ও দ্বীনি) ক্ষতি কামনা করে। (তোমাদের প্রতি শত্রুতায়) তাদের মন এতই ভরপুর যে, (মাঝে মাঝে) তাদের মুখ থেকেও (অনিচ্ছাকৃত কথাবার্তায়) শত্রুতা বের হয়ে পড়ে। তাদের অন্তরে যা গোপন রয়েছে, তা আরও গুরুত্বর।

আমি (তাদের শত্রুতার) লক্ষণাদি তোমাদের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছি। যদি তোমরা বুদ্ধিমান হয়ে থাক (তবে এসব নিশ্চিত লক্ষণ দ্বারা বুঝে নাও)। শোন! তোমরা তাদের ভালোবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও ভালোবাসা রাখে না (অন্তরেও না বাহ্যিক ব্যবহারেও না)। আর তোমরা সব (আসমানি) কিতাবের প্রতি বিশ্বাস রাখ।

(তাদের কিতাবও এসবের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু তারা তোমাদের কিতাব কোরআনের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। তোমাদের এ বিশ্বাস সত্ত্বেও তাদের প্রতি ভালোবাসা রাখো। তাদের বাহ্যিক দাবি শুনে তোমরা মনে করো না যে, তারা তোমাদের কিতাবের প্রতি বিশ্বাস রাখে। কেননা,)

তারা যখন তোমাদের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন (শুধু তোমাদের দেখাবার জন্য কপটতার সঙ্গে) বলে, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং যখন (তোমাদের কাছ থেকে) পৃথক হয়, তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে আঙুল কামড়াতে থাকে (এটা তীব্র ক্রোধের পরিচায়ক)। আপনি (তাদের) বলে দিন, তোমরা নিজেদের আক্রোশে মরে যাও (উদ্দেশ্য এই যে, তোমরা মরে গেলেও তোমাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে না)। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা অন্তরের কথা গভীরভাবে অবগত আছেন।

(এ কারণেই তাদের তাদের মনের দুঃখ, হিংসা ও শত্রুতা সম্পর্কে তোমাদের অবহিত করে দিয়েছেন। তাদের অবস্থা এই যে, যদি তোমরা কোন সুখকর অবস্থার সম্মুখীন হও; উদাহরণ- তোমরা যদি পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাও, শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ কর ইত্যাদি; তবে তারা অসন্তুষ্ট হয় (তীব্র হিংসাই এর কারণ।)

আর যদি তোমরা অমঙ্গলজনক অবস্থার সম্মুখীন হও, তবে তারা (খুব) আনন্দিত হয়। (তাদের অবস্থা যখন খারাপ এরূপ, তখন তারা বন্ধুত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের যোগ্য কি করে হবে? তাদের উল্লেখিত অবস্থাদৃষ্টে এরূপ ধারণা করা অযৌক্তিক ছিল না যে, মুসলমানদের অনিষ্ট সাধনে তারা কোনো ত্রুটি করবে না। তাই পরবর্তী আয়াতে মুসলমানদের সান্ত্বনার জন্য বলেন- ‘যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং সংযমী হও, তবে তাদের চক্রান্ত তোমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। (তোমরা নিশ্চিন্ত থাকলে দুনিয়াতে তারা অকৃতকার্য হবে এবং পরকালে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। কেননা,) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের কর্মকাণ্ডকে (জানার দিক দিয়ে) বেষ্টন করে আছেন। (তাদের কোনো কাজ আল্লাহর অজানা নয়। কাজেই পরকালের শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।)

প্রসঙ্গিক আলোচনা

আয়াতে হে ঈমানদারদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, তোমরা নিজেদের মুসলমানদের ছাড়া অন্য কাউকে ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ মিত্ররূপে গ্রহণ করো না। بطانة শব্দের অর্থ অভিভাবক, বন্ধু, বিশ্বস্ত। কোনো ব্যক্তির অভিভাবক, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং যার সাথে পরামর্শ করে কাজ করা হয়, এরূপ ব্যক্তিকে তার بطانة বলা হয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখনই কোনো নবি পাঠিয়েছেন বা কোনো খলিফা বা রাষ্ট্রনায়ককে ক্ষমতা প্রদান করেছেন, তখনই তার দুই ধরনের মিত্রের সমাহার ঘটে।

১. তাকে সৎকাজের আদেশ দেয় এবং সেটার উপর উৎসাহ যোগায়।

২. তাকে খারাপ কাজের নির্দেশ দেয় এবং সেটার উপর উদ্দীপনা দিতে থাকে।

তাই আল্লাহ যাকে হেফাযত করতে ইচ্ছা করেন তিনি ছাড়া সে বন্ধুর অকল্যাণ থেকে বাঁচার কোনো পথ থাকে না।’ (বুখারি)

হজরত ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, অন্ধকার যুগে কোনো কোনো মুসলিমের সঙ্গে কোনো কোনো ইয়াহুদির সন্ধিচুক্তি ছিল। সে চুক্তির কারণে ইসলাম গ্রহণের পরও মুসলিমরা তাদের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বজায় রাখতো। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে ইয়াহুদি-নাসারা তথা অমুসলিমদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দেন।’ (ইবন আবি হাতেম, আততাফসীরুস সহীহ)

অন্যদের বন্ধু না করার কারণ

তারা তোমাদের মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টি করতে দ্বিধাবোধ করবে না। তারা তোমাদের বিপদ কামনা করে। এ ধরনের কিছু বিষয় স্বয়ং তাদের মুখেও প্রকাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু অন্তরে যে শক্রতা গোপন রাখে, তা আরও মারাত্মক। আমি তোমাদেরকে সামনে সব আলামত প্রকাশ করে দিয়েছি; এখন তোমরা যদি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পার তবে তা থেকে উপকার পেতে পার।

তবে ইসলামের উদারতা হলো

ইসলাম বিশ্বব্যাপী করুণার ছায়াতলে মুসলিমগণকে অমুসলিমদের সঙ্গে সহানুভুতি, শুভেচ্ছা, মানবতা ও উদারতার অসাধারণ নির্দেশ দিয়েছে। এটা শুধু মৌখিক নির্দেশই নয়; বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আচরণ একে কার্যে পরিণত করেও দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মুসলিমদের নিজস্ব রাষ্ট্র ও তার বৈশিষ্ট্যপুর্ণ কার্যাবলী সংরক্ষণের স্বার্থে ইসলাম এ নির্দেশও দিয়েছে যে, ইসলামী আইনে অবিশ্বাসী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক একটি বিশেষ সীমার বাইরে এগিয়ে নেয়ার অনুমতি মুসলিমদের দেওয়া যায় না।

কারণ, এতে ব্যক্তি ও জাতি উভয়েরই বেশি কিছু ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি যুক্তিপুর্ণ, সঙ্গত ও জরুরি ব্যবস্থা। এতে ব্যক্তি ও জাতি উভয়েরই হেফাজত হয়।

যে সব অমুসলিম মুসলিম রাষ্ট্রের বাসিন্দা কিংবা মুসলিমদের সাথে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ, তাদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে জোরদার নির্দেশাবলী ইসলামী আইনের গুরুত্বপুর্ণ অংশ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমের প্রতি অত্যাচার করে কিংবা তার প্রাপ্য হ্ৰাস করে কিংবা তার উপর সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয় অথবা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার কাছ থেকে কোনো জিনিস গ্রহণ করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি তার পক্ষ থেকে উকিল হবো।’ (আবু দাউদ)

কিন্তু এসব উদারতার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিমদের নিজস্ব সত্তার হেফাযতের স্বার্থে এ নির্দেশও দেয়া হয়েছে যে, ইসলাম ও মুসলিমদের শক্রদের অন্তরঙ্গ বন্ধু কিংবা বিশ্বস্ত মুরুব্বিরূপে গ্রহণ করো না।

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হলো- এখানে একজন হস্তলিপিতে সুদক্ষ অমুসলিম বালক রয়েছে। আপনি তাকে ব্যক্তিগত মুনশী হিসাবে গ্রহণ করে নিলে ভালই হবে। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তরে বলেন, ‘এরূপ করলে মুসলিমদের ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিশ্বস্তরূপে গ্রহণ করা হবে; যা কোরআনে নির্দেশের পরিপন্থী।’ (ইবন আবি হাতেম; আত-তাফসীরুস সহীহ)

ইমাম কুরতুবি হিজরী পঞ্চম শতাব্দীর বিখ্যাত আলেম ও তফসীরবিদ। তিনি অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনার সাথে মুসলিমদের মধ্যে এ শিক্ষার বিরুদ্ধাচরণ ও তার অশুভ পরিণাম এভাবে বর্ণনা করেন যে-

‘আজকাল অবস্থা এমন পাল্টে গেছে যে, ইয়াহুদি ও নাসারাদের বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বন্ধুরূপে গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এভাবে ওরা মুর্খ বিত্তশালী ও শাসকদের ঘাড়ে চেপে বসেছে।’

আধুনিক সভ্যতার যুগেও বিশেষ মতাদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে সংশ্লিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়- এমন কোনো ব্যক্তিকে উপদেষ্টা ও মুরুব্বীরূপে গ্রহণ করা হয় না। তাই মুসলিম শাসকগণেরও এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআনের সতর্কতা নিজেদের জীবনে গ্রহণ করে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। গুরুত্বপূর্ণ সব প্রয়োজনে মুসলিম ছাড়া অন্যদের ঘনিষ্ঠ পরামর্শক ও বন্ধুরূপে গ্রহণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে কোরআনের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।