যে কারণে শয়তান এখনো আফসোস করে

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

শয়তান মানুষের একটি আমল দেখলেই কান্নাকাটি করে, আফসোস করে। কেননা শয়তান আল্লাহর নির্দেশে এ আমলটি অমান্য করেই বিতাড়িত হয়েছিল। কী সেই আমল?

কোরআনুল কারিমের অনেক স্থানে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সেজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যখন মানুষ কোরআন তেলাওয়াতের সময় সেজদার নির্দেশগুলো পড়েন; সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেজদা আদায় করেন। চাই তা নামাজে হোক কিংবা এমনি তেলাওয়াতে হোক। মানুষের এই সেজদার দৃশ্য দেখেই শয়তান কান্নাকাটি করে এবং আফসোস করতে থাকে। কেননা শয়তান আল্লাহর নির্দেশ মেনে সেজদা করা থেকে বিরত থেকেছিল। যার ফলশ্রুতিতে সে হবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আদম-সন্তান যখন (কোরআন তেলাওয়াতের সময়) সেজদার আয়াত পড়ে (আল্লাহকে সঙ্গে সঙ্গে) সেজদা করে; তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে এবং এ কথা বলতে বলতে চলে যায়-
‘হায় আফসোস! আদম-সন্তানকে সেজদার আদেশ দেওয়া হলো; আর সে সেজদা করলো; ফলে সে জান্নাতের অধিকারী হয়ে গেলো; অন্যদিকে আমাকে সেজদার আদেশ দেওয়া হলো; আর আমি তা প্রত্যাখ্যান করে হলাম জাহান্নামের অধিকারী।’ (মুসলিম)

এ হাদিস থেকেও বুঝা যায় যে, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল ‘সেজদা’। আর এই সেজদাতেই বান্দা আল্লাহর খুব কাছাকাছি হয়ে যায়। এ কারণেই সেজদায় আল্লাহর কাছে চাওয়া-পাওয়ার বিকল্প নেই। দোয়া-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি সেজদা করে তাঁর হুকুম ও দাসত্ব মেনে নেওয়ার তাওফিক দান করুন। শয়তানের উপর বিজয়ী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।