চরম হতাশায় কী করবেন?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২

শুধু খুশি কিংবা আনন্দের সময়েই নয় বরং চরম দুঃখ কিংবা হতাশায় যিনি মানুষের পরম বন্ধু তিনি হলে মহান আল্লাহ। তিনি চাইলে যে কাউকে চরম হতাশায় প্রশান্তি দিতে পারেন। তাই চরম হতাশায় মুমিন মাত্রই মহান আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করবেন-
اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِى وَ ارْحَمْنِىْ وَ أَلْحِقْنِىْ باِلرَّفِيْقِ الأَعْلَىْ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ারহামনি ওয়া আলহিক্বনি বির-রাফিকিল আ’লা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে মহান বন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে দিন। (বুখারি)

মুমিন মাত্রই সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করে। আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হতে চায়। তাই কেউ কোনো ব্যাপারে চরম হতাশ হলেই নিশ্চিন্তে আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করা জরুরি।

প্রিয় নবির আবেদনের এ ভাষাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়াটি কোরআনের সুরা শেখানোর মতো গুরুত্ব নিয়ে শেখাতেন। কারণ চরম হতাশাগ্রস্ত কিংবা মৃত্যুমুখে পতিত ব্যক্তির জন্য এটি প্রশান্তিদায়ক ও উপকারি।

যখনই মানুষ কোনো কারণে হতাশা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে, তখনই মানুষের উচিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা; রহমত কামনা করা। এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। এমনকি কেউ যদি মৃত্যুর মুখোমুখি হয় তাদেরও এ দোয়াটি পড়া সুন্নাত। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি তার মৃত্যুর সময় বলতে শুনেছি-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى
‘হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন; আমার প্রতি দয়া করুন; আর সুমহান সঙ্গীর সঙ্গে আমাকে মিলিত করুন।’ (তিরমিজি, বুখারি ও মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের যে কোনো পর্যায়ে দোয়াটির যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।