যেভাবে রহমত ও ক্ষমা চাইতে বলেছেন আল্লাহ
মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমতের প্রত্যাশী। কিন্তু কীভাবে চাইতে হবে ক্ষমা আর কীভাবে দয়া প্রার্থনা করতে হবে? আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে ক্ষমা চাওয়ার এবং রহমত কামনার কথা কীভাবে তুলে ধরেছেন? যেভাবে ক্ষমা ও রহমত কামনা করলে তিনি কবুল করবেন।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে লক্ষ্য করে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমত কামনার বর্ণনা এ মর্মে তুলে ধরেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেন-
اِنَّهٗ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡ عِبَادِیۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
‘আমার বান্দাদের মধ্যে একদল ছিল যারা বলত, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি; সুতরাং তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর দয়া কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
রহমত ও ক্ষমার দোয়া
মহান আল্লাহ মানুষের প্রতি কতবেশি দয়ালু যে, তিনি মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন; কী করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করবেন এবং দয়া করবেন। ঠিকই মানুষ যদি ঈমান আনে আর আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে-
رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
উচ্চারণ : রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি; সুতরাং তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও ও আমাদের উপর দয়া কর, তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
তবেই মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর ঈমানদার বান্দাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং তাদের প্রতি রহমত নাজিল করবেন। এটি মহান আল্লাহর ঘোষণা। আর তিনি নিজেকে দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা। কোরআনের আয়াতের ওপর যথাযথ আমল করে তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমত কামনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআনের আয়াতের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। দয়া ও ক্ষমায় পরিপূর্ণ করে দিন সবার জীবন। আমিন।
এমএমএস/এমএস