সন্তান যখন দ্বীন থেকে দুনিয়াকে বড় মনে করে!
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না! যে চায় না, তার সন্তান দ্বীনি পরিবেশ ও নীতি-নৈতিকায় মানুষ হোক। বরং সবাই চাইবে তার সন্তান হোক দুনিয়ার সেরা আদর্শের মানুষ। সে কারণেই ছোট বয়স থেকেই সন্তানকে বড় করতে হবে দ্বীনি ও নীতিনৈতিকতাপূর্ণ পরিবেশে, কথা ও কাজে।
সন্ধ্যা হলেই ৭/৮ বছরের ছোট্ট সোনা-মনিরা খেলা-ধুলা, দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ায়। আবার কেউ কেউ সন্ধ্যায় দুষ্টুমি ও পড়া-শোনায় মেতে ওঠে। এ সময়টিতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের দ্বীনি শিক্ষা ও নীতি নৈতিকতাপূর্ণ কথা বলার বিকল্প নেই।
যখন রাত গভীর হতে থাকে…
অনেক সময় যখন রাত গভীর হতে থাকে; তখন মা-বাবা কিংবা অভিভাবক শিশু-কিশোরদের ডেকে বলে- ‘এখুনি ঘুমিয়ে পড়ো, সকালে স্কুল আছে। সে দিন থেকেই এ সন্তান শিখতে শুরু করে যে, দ্বীন থেকে দুনিয়া বড়।’
হে অভিভাবক! বরং এ সময়টিতে আদরের ছোট্ট সোনা-মনিকে এভাবে ‘সকালে স্কুল আছে’ না বলে; এভাবে বলা বেশি জরুরি যে- ‘তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো; সকালে নামাজ পড়তে হবে; মক্তবে যেতে হবে কিংবা যার যার ধর্ম অনুযায়ী ধর্মীয় কাজ ও নীতি-নৈতিকতার কথা বলতে হবে। তবেই শিশুর মনে তৈরি হবে দ্বীনি শিক্ষার আগ্রহ। বড় হয়ে সে আদর্শ মানুষে পরিণত হবে।
এরপরই বলা যেতে পারে ধর্মীয় শিক্ষার পরপরই তোমাদের স্কুলেও যেতে হবে। তখন আর ঘুমানোর সময় পাবে না। তাই দেরি না করে এখুনি ঘুমিয়ে পড়ো।
পরিবারের অভিভাবকদের এ কথায় শিশু-কিশোরের মনে ভালো কাজের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সে দ্বীনি ও নীতি-নৈতিকতার শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করবে এবং উচ্চ শিক্ষায়ও স্কুলমুখী হবে। সে মনে করবে- শুধু দুনিয়ার স্কুল কলেজেরে শিক্ষাই বড় নয় বরং দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্বও বেশি।
মনে রাখতে হবে
দ্বীনি শিক্ষাই শিশু ও কিশোর সন্তানকে দিতে পারে সুন্দর ও উত্তম জীবনের হাতছানি। নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দ্বীন এবং ইসলামেই রয়েছে। তাই দ্বীন এবং ইসলামের শিক্ষাকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্য শিক্ষা যত উন্নত ও গুরুত্বপূর্ণই হোক না সন্তান দ্বীন ও নীতি নৈতিকতা থেকে থাকবে বঞ্চিত। তার থেকে ভালো কিছু আশা করাও অসম্ভব।
তাই রাতে ঘুমানোর সময় হলে সন্তানকে সকালে ওঠে ইবাদত-বন্দেগির মতো আচরণ ও দ্বীনি শিক্ষার বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরাই শ্রেয়। কারণ ধর্মেই আছে নীতি নৈতিকতার সর্বোত্তম শিক্ষা। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা।
আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সব মানুষকেই তাদের কচি-কাঁচা শিশু-কিশোরদের দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার মাধ্যমে সঠিক নীতি-নৈতিকতাপূর্ণ জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। সুন্দর ও কল্যাণে ভরপুর পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস