আগুনের উত্তাপের বিপরীতে আরশের ছায়া পাবেন যারা
দুনিয়ার প্রতিটি কাজের হিসাব দিতে হবে। কাজের হিসাব অনুযায়ী পরকালের শাস্তি ও শান্তি নির্ধারিত হবে। বদ আমলে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ শাস্তি থেকে মুক্তি ও আরশের ছায়ায় অবস্থানের জন্য ছোট্ট একটি আর্থিক ইবাদতই যথেষ্ট। কী সেই আমল?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে বেশি বেশি সাদকা করার কথা বলেছেন। সাদকার মাধ্যমে কবরের উত্তাপ কমে যাবে; আর তার আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে মুমিন। হদিসে এসেছে-
হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহ বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সাদকাহ অবশ্যই কবরবাসীর কবরের উত্তাপ ঠাণ্ডা করে দেবে এবং মুমিন কেয়ামতের দিন তার ছায়ায় অবস্থান করবে।’ (তাবারানি, বায়হাকি, তারগিব)
হাদিসে কুদসি থেকে আরও প্রমাণিত যে, সাত শ্রেণির ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়া দিয়ে ধন্য করবেন। তাদের মধ্যে একজন হলো গোপনে দান-সাদকাকারী ব্যক্তি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে মহান আল্লাহর পথে দান-সাদকা করা। ফলে আল্লাহ তাআলা দান-সাদকাকারী ব্যক্তির কবরের উত্তাপ কমিয়ে দেবেন। কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দিয়ে ধন্য করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস